A short trial to figure out the truths and realities by poems... Open and read, it will be touchy to you. Thank you
Tuesday, 5 December 2017
বিবাদ
আহ্লাদিয় আদিখ্যেতার তারে,
ভাবনা গুলি জ্বালিয়েছি সাথে সাথে
ভাঙ্গা গড়ার খেলার সময় ভুলে,
দুঃখ নেমেছে স্পষ্টবাদীর রাতে।
কাপুরুষের সময় এলো বলে,
ভাবনা নাকি ফিরে আসতে চায়
সময় কোথায় নষ্ট করার আর,
মন এখন বিষাদ বন্দি প্রায়।
জলের আওয়াজ তোমার কানে যেমন
লাগছে একই আমার কানেও তেমন
আমি বললাম ভুল হয়েছে প্রায়
জল ও কাঁদছে! শব্দ শোনা যায়।
নগ্নতাকে চাদর করে এবার
বিক্রি করার উপায় খোঁজার পথে,
আস্কারাও পিছিয়ে নিয়ে শরীর
ভুলের দূরে যাচ্ছে এবার ছুটে।
© ত্রয়ী
ভাবনা গুলি জ্বালিয়েছি সাথে সাথে
ভাঙ্গা গড়ার খেলার সময় ভুলে,
দুঃখ নেমেছে স্পষ্টবাদীর রাতে।
কাপুরুষের সময় এলো বলে,
ভাবনা নাকি ফিরে আসতে চায়
সময় কোথায় নষ্ট করার আর,
মন এখন বিষাদ বন্দি প্রায়।
জলের আওয়াজ তোমার কানে যেমন
লাগছে একই আমার কানেও তেমন
আমি বললাম ভুল হয়েছে প্রায়
জল ও কাঁদছে! শব্দ শোনা যায়।
নগ্নতাকে চাদর করে এবার
বিক্রি করার উপায় খোঁজার পথে,
আস্কারাও পিছিয়ে নিয়ে শরীর
ভুলের দূরে যাচ্ছে এবার ছুটে।
© ত্রয়ী
Friday, 10 November 2017
আসমানী ভাবনা
আমার সকাল হাতছানিতে, তখনও আলসেমি
মেখে ।
তোর সকাল পুরোনো হয়েছে , নস্টালজিক
দেখে ।
আমার ভাবনা জন্ম নিয়েছে, দেদার মনের
সুখে ।
তোর সকাল তখনও ব্যস্ত বাসস্ট্যান্ডের
বুকে।
আমার গল্পের সবে তো শুরু আরশি নগর
পড়ে।
তোর তো প্রায় অর্ধেকটা শেষ, নিকোটিনের
ঘোরে।
তখনও তোর হাতের আঙ্গুল অয়েল প্যাস্টেল
জুড়ে।
আঁকতে পারেনি অঙ্ক গুলো লাস্ট মিনিটের
সুরে।
চিনির সাথে চায়ের আমেজ তখনি জমেছে
অল্পে।
বাকিটুকু, সে মিলায়ে থাক আমাদের চিলেকোঠার
গল্পে।
©এয়ী
মেখে ।
তোর সকাল পুরোনো হয়েছে , নস্টালজিক
দেখে ।
আমার ভাবনা জন্ম নিয়েছে, দেদার মনের
সুখে ।
তোর সকাল তখনও ব্যস্ত বাসস্ট্যান্ডের
বুকে।
আমার গল্পের সবে তো শুরু আরশি নগর
পড়ে।
তোর তো প্রায় অর্ধেকটা শেষ, নিকোটিনের
ঘোরে।
তখনও তোর হাতের আঙ্গুল অয়েল প্যাস্টেল
জুড়ে।
আঁকতে পারেনি অঙ্ক গুলো লাস্ট মিনিটের
সুরে।
চিনির সাথে চায়ের আমেজ তখনি জমেছে
অল্পে।
বাকিটুকু, সে মিলায়ে থাক আমাদের চিলেকোঠার
গল্পে।
©এয়ী
হঠাৎ
#এ_এক_অন্য_ভালোবাসা
রোজকারের সকালের মতনই এক আলোমাখা সকাল শুধু কুয়াশার প্রকোপ টা বেশি ছিল আজ, বাস্তবের কুয়াশা যে মনের দ্বার ঠেলে ভিতরের দিকে ঢুকে গেছে তা নিয়ে মৃণাল বাবুর কোনও সংশয় ছিল না। সকালের চোখ খুলেই যে লোকটি আগের দিন রাতে ভিজিয়ে রাখা ত্রিফলার জল খুঁজতেন, সে আজ ভুলে গেছেন খেতে। হাতের কাজে ঠেকনা দিয়ে রাখা লাঠির দিকে তাকিয়ে মুখটা বাঁকিয়ে বললেন " হুঁ! আমায় এমন দেখলে হবে? আমার বৃদ্ধাবস্থার ঢের বাকি।" তারপর উঠে বসলেন কাঠে। তার চৌকির ডানদিকের টেবিলের ওপর রাখা পদ্ম মুখি ঘড়ি, তাতে চোখ যেতেই দেখলেন, বাড়ির ঢং ঢং করে বেজে ওঠা বস্তুটির সাথে সেই পদ্ম ঘড়ির সময়ের অদল-বদল হয়েছে প্রায়, বুঝলেন পদ্ম ঘড়ি মাঝ রাতেই বন্ধ হয়ে গেছিল।
কারন উনি ঘুম থেকে উঠতেই দেওয়াল ঘড়ির মুখে তাকিয়ে আসল সময়ের পরখ করে নিয়েছেন।
পদ্ম ঘড়িটা হাতে নিয়ে, মনে মনে বললেন " ঘড়িটার আর দোষ কই! তাকে সামাল দেওয়া লোক টাই আজ নিজেকে সামাল দিতে ব্যস্ত।
মৃণাল বাবুর স্ত্রী রেবা। উনি নিজের হাতে দরদাম করে কিনেছিলেন এই ঘড়ি টি, তাদের বিবাহ বার্ষিকী উপলক্ষে। শুধু তাই না রেবা দেবী নিজের জন্মদিন ভুলে যাবেন কিন্তু তাদের বিবাহ বার্ষিকী পালন করতে কখনই ভুলবেন না, মৃণাল বাবুর এখনও মনে করে খুশি হন সেই দিনের মাধুর্য, কতই না সুন্দর ছিল সব। সকাল থেকে হরেক রকম রান্না তার সাথে নিজের হাতে মিষ্টি বানাতেন স্বামীর জন্য। তার আগের দিন গড়িয়াহাটে গিয়ে নিজে পছন্দ করে ধুতি পাঞ্জাবী আনতেন রেবা দেবী, কখনও স্বামীকে নিয়ে যেতেন না। কারন উনি মানা করতেন কেনার জন্য। যদিও মৃণাল বাবুর উৎসাহ কম ছিল। কারন রেবা দেবী কে নিয়ে তার মাথা ব্যথা কম ছিল বললেই হয়, কারন তাদের বিয়ে টা মৃণাল বাবুর মতে হয় নি। ব্যবসা করতে চেয়েছিলেন তিনি, কিন্তু বাবার ভয়ে তা কাজে করতে পারেন নি। তার মাথা থেকে ব্যবসা আর বাইরে যাওয়ার হুজুক নামানোর জন্য তারা মৃণাল বাবুর বিয়ে দিয়ে দেন, তারপর সেই ক্ষোভে তার সংসার মন ও বসেনি তেমন। যদিও তিনি ছিটকে বেড়িয়ে যান নি দায়িত্ব নিয়েছিলেন কিন্তু ভালোবাসতে পারেন নি। আজ সে ৪৩টা বছর পার করে এসেছেন তার পত্নীর সাথে। কোনও সন্তান নেই তাদের। বিবাহ বার্ষিকীর সময় সীমা এই বছরে আর বেশি দূরে নেই আর পনেরো দিন পরেই। কিন্তু উৎসাহ দেওয়ার মানুষ টা অনেক দিন হলো তার সাধেন ঘরের বাহিরে। রেবা দেবী খুব অসুস্থ। ক্যান্সারের কবলে বিরাজমান। হাসপাতালে ভর্তি সে।
মৃণাল বাবু দুপুর করে রোজই প্রায় দেখতে যান রেবা দেবী কে। ওনি কথা বলতে পারেননা আর, নড়াচড়া তে বোঝান উনি খুশি মৃণাল বাবু যায় বলে। যখন ওনাকে কাচের জানলার বাইরের দূর থেকে দেখেন মৃণাল বাবু তখন বুঝতে পারেন তার মনের আর্তনাদ। বুক ফাটানো এক চিৎকার এসে বলে "রেবা বাড়ি চল ফিরে।" তিনি বুঝতে পারেন দায়িত্ব টা কবেই ভালোবাসায় পরিনত হয়ে গেছে তা তিনি আগে বুঝতে পারেননি। কেমোতে রেবা দেবীর মাথায় তেমন চুল আর অবশিষ্ট নেই তা দেখে মৃণাল বাবু মাঝে মধ্যে আড়ালে চোখ মুছে ছেন কতবার।
এ কথা ভাবতে ভাবতেই পূর্ব দিকের জানালা টা খুলে দিলেন তিনি। বাইরে দেখতেই খেয়াল এলো আজ রবিবার, কারন পাশের পার্কে আজ বেশিই হুল্লোড়, সব বাচ্চাদের।
তিনি এক পা করে সিঁড়ি দিয়ে নেমে নিচে রাখা খবরকাগজ টা তুলে নিলেন। ঘরে এসে দেখলেন বেলা বেড়েছে অনেক, তাই খবরকাগজ টা রাতে এসে পড়বেন। স্নান সেরে তিনি খাওয়ার টেবিলে বসলেন। রান্না টা উনি ভালোই পারেন সেটা ভাবাটাও বড্ড ভুল। তাই কাজের মাসি এসে রেঁধে গেছেন। উনি চা টা খান না তাই মাসি বেলার দিকে রান্না করে যান। আজ ও তাই করেছেন। দুপুর দেড়টা, বড্ড দেরি হয়ে গেছে কারন তাড়াতাড়ি খেয়ে ওনাকে ওষুধ খেতে হয় নার্ভের। রেবা দেবী থাকাকালীন তিনি এমন দেরি করার সাহস ও পেতেন না।
ভাবতে ভাবতেই টেলিফোনের শব্দ। খাওয়ার টেবিলের পাশেই টেলিফোন টির স্ট্যান্ড, তাই উঠতে হয় নি তাকে।
শব্দ টা আজ বড্ড কানে লাগার মতোন ছিল। ফোন তুলেতেই উনি হাতের দলা করা ভাত টা থালার মধ্যে রেখে দিলেন। তার চোখের সামনেটা জলে ঝাপসা হয়ে গেল।
রেবা দেবী গত হয়েছেন।
একটু আগেই তিনি তার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃণাল বাবু উঠলেন হাত ধুলেন, যেতে হবে হসপিটাল। তিনি নিশ্চুপ, তবে কি তিনি আন্দাজ করেছিলেন সকালের বন্ধ ঘড়ি দেখে!!!
বেরনোর পর রেবা দেবীর রাখা ছবিটা দেখে মনে মনে ফাটা গলায় বললেন," অনেক কষ্ট পেয়েছ, আন্দাজ করে বলতে পারি শরীরের টা মনের চাইতে কম। অনেকটা পথ অতিক্রম সাবধানে তুমি যেও।
দূরে আসমান পরিস্কার করে মৃনাল বাবুর জীবনে হয় তো কালো মেঘের বাস্তবতা নিয়ে এলো।
© ত্রয়ী
রোজকারের সকালের মতনই এক আলোমাখা সকাল শুধু কুয়াশার প্রকোপ টা বেশি ছিল আজ, বাস্তবের কুয়াশা যে মনের দ্বার ঠেলে ভিতরের দিকে ঢুকে গেছে তা নিয়ে মৃণাল বাবুর কোনও সংশয় ছিল না। সকালের চোখ খুলেই যে লোকটি আগের দিন রাতে ভিজিয়ে রাখা ত্রিফলার জল খুঁজতেন, সে আজ ভুলে গেছেন খেতে। হাতের কাজে ঠেকনা দিয়ে রাখা লাঠির দিকে তাকিয়ে মুখটা বাঁকিয়ে বললেন " হুঁ! আমায় এমন দেখলে হবে? আমার বৃদ্ধাবস্থার ঢের বাকি।" তারপর উঠে বসলেন কাঠে। তার চৌকির ডানদিকের টেবিলের ওপর রাখা পদ্ম মুখি ঘড়ি, তাতে চোখ যেতেই দেখলেন, বাড়ির ঢং ঢং করে বেজে ওঠা বস্তুটির সাথে সেই পদ্ম ঘড়ির সময়ের অদল-বদল হয়েছে প্রায়, বুঝলেন পদ্ম ঘড়ি মাঝ রাতেই বন্ধ হয়ে গেছিল।
কারন উনি ঘুম থেকে উঠতেই দেওয়াল ঘড়ির মুখে তাকিয়ে আসল সময়ের পরখ করে নিয়েছেন।
পদ্ম ঘড়িটা হাতে নিয়ে, মনে মনে বললেন " ঘড়িটার আর দোষ কই! তাকে সামাল দেওয়া লোক টাই আজ নিজেকে সামাল দিতে ব্যস্ত।
মৃণাল বাবুর স্ত্রী রেবা। উনি নিজের হাতে দরদাম করে কিনেছিলেন এই ঘড়ি টি, তাদের বিবাহ বার্ষিকী উপলক্ষে। শুধু তাই না রেবা দেবী নিজের জন্মদিন ভুলে যাবেন কিন্তু তাদের বিবাহ বার্ষিকী পালন করতে কখনই ভুলবেন না, মৃণাল বাবুর এখনও মনে করে খুশি হন সেই দিনের মাধুর্য, কতই না সুন্দর ছিল সব। সকাল থেকে হরেক রকম রান্না তার সাথে নিজের হাতে মিষ্টি বানাতেন স্বামীর জন্য। তার আগের দিন গড়িয়াহাটে গিয়ে নিজে পছন্দ করে ধুতি পাঞ্জাবী আনতেন রেবা দেবী, কখনও স্বামীকে নিয়ে যেতেন না। কারন উনি মানা করতেন কেনার জন্য। যদিও মৃণাল বাবুর উৎসাহ কম ছিল। কারন রেবা দেবী কে নিয়ে তার মাথা ব্যথা কম ছিল বললেই হয়, কারন তাদের বিয়ে টা মৃণাল বাবুর মতে হয় নি। ব্যবসা করতে চেয়েছিলেন তিনি, কিন্তু বাবার ভয়ে তা কাজে করতে পারেন নি। তার মাথা থেকে ব্যবসা আর বাইরে যাওয়ার হুজুক নামানোর জন্য তারা মৃণাল বাবুর বিয়ে দিয়ে দেন, তারপর সেই ক্ষোভে তার সংসার মন ও বসেনি তেমন। যদিও তিনি ছিটকে বেড়িয়ে যান নি দায়িত্ব নিয়েছিলেন কিন্তু ভালোবাসতে পারেন নি। আজ সে ৪৩টা বছর পার করে এসেছেন তার পত্নীর সাথে। কোনও সন্তান নেই তাদের। বিবাহ বার্ষিকীর সময় সীমা এই বছরে আর বেশি দূরে নেই আর পনেরো দিন পরেই। কিন্তু উৎসাহ দেওয়ার মানুষ টা অনেক দিন হলো তার সাধেন ঘরের বাহিরে। রেবা দেবী খুব অসুস্থ। ক্যান্সারের কবলে বিরাজমান। হাসপাতালে ভর্তি সে।
মৃণাল বাবু দুপুর করে রোজই প্রায় দেখতে যান রেবা দেবী কে। ওনি কথা বলতে পারেননা আর, নড়াচড়া তে বোঝান উনি খুশি মৃণাল বাবু যায় বলে। যখন ওনাকে কাচের জানলার বাইরের দূর থেকে দেখেন মৃণাল বাবু তখন বুঝতে পারেন তার মনের আর্তনাদ। বুক ফাটানো এক চিৎকার এসে বলে "রেবা বাড়ি চল ফিরে।" তিনি বুঝতে পারেন দায়িত্ব টা কবেই ভালোবাসায় পরিনত হয়ে গেছে তা তিনি আগে বুঝতে পারেননি। কেমোতে রেবা দেবীর মাথায় তেমন চুল আর অবশিষ্ট নেই তা দেখে মৃণাল বাবু মাঝে মধ্যে আড়ালে চোখ মুছে ছেন কতবার।
এ কথা ভাবতে ভাবতেই পূর্ব দিকের জানালা টা খুলে দিলেন তিনি। বাইরে দেখতেই খেয়াল এলো আজ রবিবার, কারন পাশের পার্কে আজ বেশিই হুল্লোড়, সব বাচ্চাদের।
তিনি এক পা করে সিঁড়ি দিয়ে নেমে নিচে রাখা খবরকাগজ টা তুলে নিলেন। ঘরে এসে দেখলেন বেলা বেড়েছে অনেক, তাই খবরকাগজ টা রাতে এসে পড়বেন। স্নান সেরে তিনি খাওয়ার টেবিলে বসলেন। রান্না টা উনি ভালোই পারেন সেটা ভাবাটাও বড্ড ভুল। তাই কাজের মাসি এসে রেঁধে গেছেন। উনি চা টা খান না তাই মাসি বেলার দিকে রান্না করে যান। আজ ও তাই করেছেন। দুপুর দেড়টা, বড্ড দেরি হয়ে গেছে কারন তাড়াতাড়ি খেয়ে ওনাকে ওষুধ খেতে হয় নার্ভের। রেবা দেবী থাকাকালীন তিনি এমন দেরি করার সাহস ও পেতেন না।
ভাবতে ভাবতেই টেলিফোনের শব্দ। খাওয়ার টেবিলের পাশেই টেলিফোন টির স্ট্যান্ড, তাই উঠতে হয় নি তাকে।
শব্দ টা আজ বড্ড কানে লাগার মতোন ছিল। ফোন তুলেতেই উনি হাতের দলা করা ভাত টা থালার মধ্যে রেখে দিলেন। তার চোখের সামনেটা জলে ঝাপসা হয়ে গেল।
রেবা দেবী গত হয়েছেন।
একটু আগেই তিনি তার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃণাল বাবু উঠলেন হাত ধুলেন, যেতে হবে হসপিটাল। তিনি নিশ্চুপ, তবে কি তিনি আন্দাজ করেছিলেন সকালের বন্ধ ঘড়ি দেখে!!!
বেরনোর পর রেবা দেবীর রাখা ছবিটা দেখে মনে মনে ফাটা গলায় বললেন," অনেক কষ্ট পেয়েছ, আন্দাজ করে বলতে পারি শরীরের টা মনের চাইতে কম। অনেকটা পথ অতিক্রম সাবধানে তুমি যেও।
দূরে আসমান পরিস্কার করে মৃনাল বাবুর জীবনে হয় তো কালো মেঘের বাস্তবতা নিয়ে এলো।
© ত্রয়ী
Saturday, 30 September 2017
পাষাণ নয় যদিও
অলীক কল্পনা
এতো বড়ো স্তম্ভ যুক্ত পাষাণ চেতনাবিহীন চেহারাটা নিয়ে উন্মুক্তের মতো দাড়িয়ে আছো, হে আকাশ তোমার ঠিক দাবি টা কী?
তাকালেই তো ছড়ানো কাপড়ের মতো মলিনতা ছড়িয়ে উদারতার দেখাও।
তা কি তবে অহংকার নাকি মায়াতে বেঁধেছে বলে এমন রূপ।
পুরান কথার মতো যাদের স্থান অক্ষয়লোকে হয় তাদের নাকি আপনার কাছে জমা রাখা হয় অগুনতি তারা রূপে। তবে পাওনাদাররা চাইছেল তুমি তোমার সঞ্চয় ফিরিয়ে দাও? নাকি মুখ ঘুরিয়ে অভিমানী স্বরে বলো 'এ আমার প্রাপ্য ছিল আমার কাছেই থাক'।
বুঝি না তোমার এতো বড়ো গঠন কি সত্যিই বর্তমান নাকি মিছা নাকি আমার ছোটো দুটি চোখে সম্পূর্ণ টা আসে না।।।।
©সুতপা
এতো বড়ো স্তম্ভ যুক্ত পাষাণ চেতনাবিহীন চেহারাটা নিয়ে উন্মুক্তের মতো দাড়িয়ে আছো, হে আকাশ তোমার ঠিক দাবি টা কী?
তাকালেই তো ছড়ানো কাপড়ের মতো মলিনতা ছড়িয়ে উদারতার দেখাও।
তা কি তবে অহংকার নাকি মায়াতে বেঁধেছে বলে এমন রূপ।
পুরান কথার মতো যাদের স্থান অক্ষয়লোকে হয় তাদের নাকি আপনার কাছে জমা রাখা হয় অগুনতি তারা রূপে। তবে পাওনাদাররা চাইছেল তুমি তোমার সঞ্চয় ফিরিয়ে দাও? নাকি মুখ ঘুরিয়ে অভিমানী স্বরে বলো 'এ আমার প্রাপ্য ছিল আমার কাছেই থাক'।
বুঝি না তোমার এতো বড়ো গঠন কি সত্যিই বর্তমান নাকি মিছা নাকি আমার ছোটো দুটি চোখে সম্পূর্ণ টা আসে না।।।।
©সুতপা
দূর্গা ভাগে
ভোরের আকাশ এলোমেলো, শহর ফুরফুরে
চতুর্থীর ভরা গন্ধ, পুজোর এই মরসুমে।
মনের দূর্গা এলোমেলো, এলোকেশী চুলে
ঠাঁই হয়েছে মাটির মূর্তি, কাঠামোর মশগুলে।
আমি না হয় নেহাত বোকা পুজি তারে রোজ
নিজের দূর্গা কেমন আছে? নিলে নাকি খোঁজ।
এই দেশেতে হরেক রকম দূর্গা পাওয়া যায়
মেক আপ দিয়ে , ফটোর দেশে অনেক দেখা যায়।
তা না হলেও দেখতে পাবে ছয় কোটির তরে
দূর্গা, সাজিয়ে এনেছে কেমন বিশাল টাকার ঘরে।
দূর্গা তখন বিরাজমান দামী প্যান্ডেল সাজে
দর তুলেছে পরিক্রমা হাজার ভিড়ের মাঝে।
দেখছো কি আর এক দূর্গা রাস্তায় যার বাড়ি
অনাহার তার চির বন্ধু, তাই নিয়তির সাথে আড়ি ।
ছয় কোটি তে নয় সে দশ টাকাতেই খুশি
এবার দূর্গা পরিক্রমায় ভুল হয়েছে, তাই তুমিও তবে দোষী।
©সুতপা
চতুর্থীর ভরা গন্ধ, পুজোর এই মরসুমে।
মনের দূর্গা এলোমেলো, এলোকেশী চুলে
ঠাঁই হয়েছে মাটির মূর্তি, কাঠামোর মশগুলে।
আমি না হয় নেহাত বোকা পুজি তারে রোজ
নিজের দূর্গা কেমন আছে? নিলে নাকি খোঁজ।
এই দেশেতে হরেক রকম দূর্গা পাওয়া যায়
মেক আপ দিয়ে , ফটোর দেশে অনেক দেখা যায়।
তা না হলেও দেখতে পাবে ছয় কোটির তরে
দূর্গা, সাজিয়ে এনেছে কেমন বিশাল টাকার ঘরে।
দূর্গা তখন বিরাজমান দামী প্যান্ডেল সাজে
দর তুলেছে পরিক্রমা হাজার ভিড়ের মাঝে।
দেখছো কি আর এক দূর্গা রাস্তায় যার বাড়ি
অনাহার তার চির বন্ধু, তাই নিয়তির সাথে আড়ি ।
ছয় কোটি তে নয় সে দশ টাকাতেই খুশি
এবার দূর্গা পরিক্রমায় ভুল হয়েছে, তাই তুমিও তবে দোষী।
©সুতপা
দূর্গারূপে
(খুচরো কিছু লাইন)
তোমার দূর্গা আর্সেলানের সিটে, টিপ দিচ্ছে খুচরো অংক কষে।
আমার দূর্গা তখনও রাস্তার ধারে, থালা নিয়ে ভিক্ষে করছে বসে।
তোমার দূর্গার সপ্তমী প্ল্যান শেষ, বাকি দিনের মেয়াদ নিচ্ছে বুঝে।
আমার দূর্গা তখনও ফাঁকা পেটে, খিদে চেপে ভালোবাসা নিচ্ছে খুঁজে।
তোমার দূর্গার রাত হয়েছে সবে, শুতে হবে পশম কাঠের মাঝে।
আমার দূর্গার ফাঁকা বাস স্ট্যান্ড, হাহাকারে পাঁজর জোড়া বাজে।
©trayee sen(সুতপা)
তোমার দূর্গা আর্সেলানের সিটে, টিপ দিচ্ছে খুচরো অংক কষে।
আমার দূর্গা তখনও রাস্তার ধারে, থালা নিয়ে ভিক্ষে করছে বসে।
তোমার দূর্গার সপ্তমী প্ল্যান শেষ, বাকি দিনের মেয়াদ নিচ্ছে বুঝে।
আমার দূর্গা তখনও ফাঁকা পেটে, খিদে চেপে ভালোবাসা নিচ্ছে খুঁজে।
তোমার দূর্গার রাত হয়েছে সবে, শুতে হবে পশম কাঠের মাঝে।
আমার দূর্গার ফাঁকা বাস স্ট্যান্ড, হাহাকারে পাঁজর জোড়া বাজে।
©trayee sen(সুতপা)
Sunday, 20 August 2017
দুই পৃথিবী
***দুই পৃথিবী ***
এক পৃথিবী জমজমাট পূজোর কাজে, শরীর সাজে।
অন্যটা যে খেতে পায়না,
দেখা যায় তার কালো বুকের ভাঁজে।
এক পৃথিবী ভীষণ সতেজ, রঙের ছটায় বড্ড রঙিন
অন্যটা তো শুকিয়ে গেছে,
সাদাকালোও জোটে না মোটে।
এক পৃথিবী বায়না নিয়ে সাধের মতোই হিসেব করে
আর একটা তে বায়না কোথায়?
সাধের অংক হারায় ভিড়ে।
দুই পৃথিবীর মানুষটা এক,
একটি নিচ্ছে, একটি দিচ্ছে।
এক টা পেয়েও চাইছে কেমন!! আর একটার সব শূন্য ইচ্ছে।
©সুতপা
এক পৃথিবী জমজমাট পূজোর কাজে, শরীর সাজে।
অন্যটা যে খেতে পায়না,
দেখা যায় তার কালো বুকের ভাঁজে।
এক পৃথিবী ভীষণ সতেজ, রঙের ছটায় বড্ড রঙিন
অন্যটা তো শুকিয়ে গেছে,
সাদাকালোও জোটে না মোটে।
এক পৃথিবী বায়না নিয়ে সাধের মতোই হিসেব করে
আর একটা তে বায়না কোথায়?
সাধের অংক হারায় ভিড়ে।
দুই পৃথিবীর মানুষটা এক,
একটি নিচ্ছে, একটি দিচ্ছে।
এক টা পেয়েও চাইছে কেমন!! আর একটার সব শূন্য ইচ্ছে।
©সুতপা
Thursday, 3 August 2017
ফিরে এসো মৃণাল
* ফিরে এসো মৃণাল *
হ্যালো: আজ মনে হয় একটু দেরি হলো
ভাঙ্গা আওয়াজে শুরু হল এবার
পূর্বের কথা আর আওরাই না ভুলেও
যার স্বাদ বড্ড তিক্ত আমার কাছে।
সময়ের রেশে পাড়ি দিলেও জীবন
ঘটে যাওয়া অনেক বলার আছে।
ঘটনা ছিল প্রায় না ঘটার ভানে
তালের সাথে পা মিলিয়ে চলা।
গোপন কথাসব সাজিয়ে মনে মনে
আবদারেতে সবটা তোমায় বলা।
তবে সব আবদার সাত বছর পর আবার
গুছিয়ে রেখে বলি হাহাকারে।
ফিরে এসো মৃণাল একটি বার
আমার দুচোখ থমকে আছে ভাঙা ঘরের দ্বারে।
আমিই কি একাই এক অভাগিনী স্ত্রী
অবহেলা যাকে দিয়েছিলে এক কালে।
অন্যায় সব আমার ভাগীদারি
যাকে রেখে গেছো একা নিজের হালে।
ফিরে এসো মৃণাল
আধ ভাঙা তৃষ্ণা নিয়ে বুকে।
দূরে গিয়ে ভালো আছো বুঝি?
ভেবেছো আমি আছি বড়ো সুখে।
রেডিও তখন প্রেমের গানে সুর বহরে ছটে
শূন্য ঘরও নিজের মতোন গুনগুনিয়ে উঠে।
সকাল এবার পা বাড়িয়ে বেলার দিকে যখন
কালোয় সাজা সন্ধ্যা একা নেমে গেছে কখন।
তুলসীমঞ্চে প্রদীপ দিয়ে যখন তোমায় ডাকি
নিজেই পরে তোমার স্বরে উওর দিয়ে থাকি।
অগোছালো তোমার ড্রয়িংরুমে ছড়িয়ে রাখা পেপার
গুছিয়ে রাখতাম আমিই তাই তোমায় বলা বেকার।
এখন রাতে আবার ছড়িয়ে ঘুমতে চলে যাই
ভোরের আগে উঠে সব আদরে গোছাই।
সাতটা বছর বড়ো তো নয় নাকি তা মিছে সান্ত্বনায়
পিঠ ঠেকেছে ঘরের কোণে কাতর ভরা যন্ত্রণায়।
চায়ের সাথে খবরকাগজ নিয়মিত রাখি ভরে
আওয়াজ করা সিলিংফ্যান চালিয়ে দিই হালকা করে।
স্নানের জল সরিয়ে রেখে মিছিমিছি বলি হেঁকে
'কোন সার্ট টা পরবে তুমি?'
'পানটা দেব সেজে তবে'
'যাচ্ছ বুঝি এই বেলা? আসবে আবার কখন কবে?'
সামলেছিলাম একাই সব
কষ্ট হলেও বলবো তোমায়
গর্ব করে বলবে তবে
দেবে? মহীয়সী নামটা আমায়
ফিরে এসো মৃণাল তুমি
নিয়ে তোমার পুরোনো স্মৃতি।
অবাস্তবে ফোনটা রাখতে হবে
বাস্তবে চোখের জলে তোমার স্ত্রী ইতি।
©সুতপা
হ্যালো: আজ মনে হয় একটু দেরি হলো
ভাঙ্গা আওয়াজে শুরু হল এবার
পূর্বের কথা আর আওরাই না ভুলেও
যার স্বাদ বড্ড তিক্ত আমার কাছে।
সময়ের রেশে পাড়ি দিলেও জীবন
ঘটে যাওয়া অনেক বলার আছে।
ঘটনা ছিল প্রায় না ঘটার ভানে
তালের সাথে পা মিলিয়ে চলা।
গোপন কথাসব সাজিয়ে মনে মনে
আবদারেতে সবটা তোমায় বলা।
তবে সব আবদার সাত বছর পর আবার
গুছিয়ে রেখে বলি হাহাকারে।
ফিরে এসো মৃণাল একটি বার
আমার দুচোখ থমকে আছে ভাঙা ঘরের দ্বারে।
আমিই কি একাই এক অভাগিনী স্ত্রী
অবহেলা যাকে দিয়েছিলে এক কালে।
অন্যায় সব আমার ভাগীদারি
যাকে রেখে গেছো একা নিজের হালে।
ফিরে এসো মৃণাল
আধ ভাঙা তৃষ্ণা নিয়ে বুকে।
দূরে গিয়ে ভালো আছো বুঝি?
ভেবেছো আমি আছি বড়ো সুখে।
রেডিও তখন প্রেমের গানে সুর বহরে ছটে
শূন্য ঘরও নিজের মতোন গুনগুনিয়ে উঠে।
সকাল এবার পা বাড়িয়ে বেলার দিকে যখন
কালোয় সাজা সন্ধ্যা একা নেমে গেছে কখন।
তুলসীমঞ্চে প্রদীপ দিয়ে যখন তোমায় ডাকি
নিজেই পরে তোমার স্বরে উওর দিয়ে থাকি।
অগোছালো তোমার ড্রয়িংরুমে ছড়িয়ে রাখা পেপার
গুছিয়ে রাখতাম আমিই তাই তোমায় বলা বেকার।
এখন রাতে আবার ছড়িয়ে ঘুমতে চলে যাই
ভোরের আগে উঠে সব আদরে গোছাই।
সাতটা বছর বড়ো তো নয় নাকি তা মিছে সান্ত্বনায়
পিঠ ঠেকেছে ঘরের কোণে কাতর ভরা যন্ত্রণায়।
চায়ের সাথে খবরকাগজ নিয়মিত রাখি ভরে
আওয়াজ করা সিলিংফ্যান চালিয়ে দিই হালকা করে।
স্নানের জল সরিয়ে রেখে মিছিমিছি বলি হেঁকে
'কোন সার্ট টা পরবে তুমি?'
'পানটা দেব সেজে তবে'
'যাচ্ছ বুঝি এই বেলা? আসবে আবার কখন কবে?'
সামলেছিলাম একাই সব
কষ্ট হলেও বলবো তোমায়
গর্ব করে বলবে তবে
দেবে? মহীয়সী নামটা আমায়
ফিরে এসো মৃণাল তুমি
নিয়ে তোমার পুরোনো স্মৃতি।
অবাস্তবে ফোনটা রাখতে হবে
বাস্তবে চোখের জলে তোমার স্ত্রী ইতি।
©সুতপা
Monday, 17 July 2017
পরিত্যক্ত এক ফানুস
ফানুস তুমি একুশে পরে, সর্বাঙ্গে উত্তপ্ত
সলতে আগুন পথের সাথী, বাকি টুকু পরিত্যক্ত।
মধ্যরাতে গগন পথে হাতছানিতেই ব্যস্ত তুমি
পতিত পান্থ তখন তোমার বাকি শরীর ছোঁবে ভূমি।
ভাবলে তোমার উদার দেহ রঙের বচন বাঁধবে পরে,
সাধের কথা মাথায় রেখে উড়বে তবে সময় করে?
ফানুস তুমি একুশে আইন মানবে নাকি অঙ্গীকারে!
পিছল জীবন বুঝলে পরে টের টি পাবে হাড়ে হাড়ে।
©সুতপা
Saturday, 8 July 2017
খোয়া গিয়েছে স্বপ্ন
খোয়া গিয়েছে স্বপ্ন
বহু কাল আগে দেখা একটি স্বপ্ন
যার বাস্তবতার রেশ নেই বটে
অতি কষ্টে টুকিটাকি আটকে,
যার রেশ সীমা দাগেই ছোটে
স্বপ্ন মানে আমার স্বপ্নের কথা
যার ছিল দুটি হাত,
একটি আসমান মাটি ভাবা মন
কিন্তু এগিয়ে যেতে পা?
ছিল না। এ ছিল এক প্রতিবন্ধী স্বপ্ন
যে খুশি মতন নিজের সব টুকুর মানে
বানিয়ে নিতে পারত এক সুদূরপ্রসারী রাস্তা
কিন্তু তাতে তাল মিলিয়ে হাটতে পারত না,
প্রতিবন্ধকতার ছাঁয়া তার পথ আটকে রাখতো
সুদূরের আকাশ দেখে মেঘ আঁকলো, বৃষ্টিও নামালো
কিন্তু ভিজবে কেমন? সে যে প্রতিবন্ধী
হ্যাঁ আমার স্বপ্ন প্রতিবন্ধী।।
সে বোঝে তার অস্তিত্ব কিন্তু প্রকাশে পায় বাধা
কেন এমন স্বপ্ন আমার? যার নেই কোনও পথ
কেন এই স্বপ্ন বেঁচে যার নেই কোনও মতামত
স্বপ্ন নাকি স্বাধীন হয়! তবে কেন প্রতিবন্ধী তার নাম
তবে কেন স্বপ্নের জঠোরে নেই সুখ, নেই ভালোবাসা নেই তার দাম
ছিল তো শুধু স্বপ্ন আমার কাজের বড়ো কাজ,
ফাঁকা স্বপ্ন সাজানোর আগেই মরচে ধরেছে আজ।
স্বপ্ন টুকুও বদ্ধ কেমন সমাজ কাজের তাড়ায়,
যায় কী পাওয়া স্বাধীন স্বপ্ন কারুর কাছে ভাড়ায়।
দাও না জানা দুখান পা ধরে এনে তাকে,
প্রতিবন্ধী পীড়ন ভুলে খুশিই হবে ফাঁকে।
হাজার তারাও আলোক পেয়ে খুশি মনের মাঝে
টিপটিপিয়ে জ্বলছে কেমন ব্যস্ত সন্ধ্যা সাঁঝে।
তবে দাও না কিছু ব্যস্ততা ধার স্বপ্ন দেখার জন্য
হ্যাঁ! হতেই হবে স্বাধীন তাকে,
কারন এটা আমি আর আমার জীবন অন্য
যদি মানা করো দিতে, তবে চাই না পরে কিছু
জানবে স্বপ্ন খোয়া গেছে, আসবে না তার পিছু।
©সুতপা
বহু কাল আগে দেখা একটি স্বপ্ন
যার বাস্তবতার রেশ নেই বটে
অতি কষ্টে টুকিটাকি আটকে,
যার রেশ সীমা দাগেই ছোটে
স্বপ্ন মানে আমার স্বপ্নের কথা
যার ছিল দুটি হাত,
একটি আসমান মাটি ভাবা মন
কিন্তু এগিয়ে যেতে পা?
ছিল না। এ ছিল এক প্রতিবন্ধী স্বপ্ন
যে খুশি মতন নিজের সব টুকুর মানে
বানিয়ে নিতে পারত এক সুদূরপ্রসারী রাস্তা
কিন্তু তাতে তাল মিলিয়ে হাটতে পারত না,
প্রতিবন্ধকতার ছাঁয়া তার পথ আটকে রাখতো
সুদূরের আকাশ দেখে মেঘ আঁকলো, বৃষ্টিও নামালো
কিন্তু ভিজবে কেমন? সে যে প্রতিবন্ধী
হ্যাঁ আমার স্বপ্ন প্রতিবন্ধী।।
সে বোঝে তার অস্তিত্ব কিন্তু প্রকাশে পায় বাধা
কেন এমন স্বপ্ন আমার? যার নেই কোনও পথ
কেন এই স্বপ্ন বেঁচে যার নেই কোনও মতামত
স্বপ্ন নাকি স্বাধীন হয়! তবে কেন প্রতিবন্ধী তার নাম
তবে কেন স্বপ্নের জঠোরে নেই সুখ, নেই ভালোবাসা নেই তার দাম
ছিল তো শুধু স্বপ্ন আমার কাজের বড়ো কাজ,
ফাঁকা স্বপ্ন সাজানোর আগেই মরচে ধরেছে আজ।
স্বপ্ন টুকুও বদ্ধ কেমন সমাজ কাজের তাড়ায়,
যায় কী পাওয়া স্বাধীন স্বপ্ন কারুর কাছে ভাড়ায়।
দাও না জানা দুখান পা ধরে এনে তাকে,
প্রতিবন্ধী পীড়ন ভুলে খুশিই হবে ফাঁকে।
হাজার তারাও আলোক পেয়ে খুশি মনের মাঝে
টিপটিপিয়ে জ্বলছে কেমন ব্যস্ত সন্ধ্যা সাঁঝে।
তবে দাও না কিছু ব্যস্ততা ধার স্বপ্ন দেখার জন্য
হ্যাঁ! হতেই হবে স্বাধীন তাকে,
কারন এটা আমি আর আমার জীবন অন্য
যদি মানা করো দিতে, তবে চাই না পরে কিছু
জানবে স্বপ্ন খোয়া গেছে, আসবে না তার পিছু।
©সুতপা
Friday, 16 June 2017
বৃষ্টির বিয়ে
** বিয়ে**
আমার বৃষ্টি
সে নাকি জেদ ধরেছে মনে,
আবার সাজতে হবে কনে।
শাড়ি? হ্যাঁ চাই তো তবে টকটকে লাল
যেটা সবাই বাসে ভালো সেই লাল
যা বধূ বধূ ছাপ দিয়ে যায় লাগে একেবারে অন্য
বললো উঁচিয়ে,
কোনো সওগাত আসেনি আমার সাজের জন্য?
কি দরকার আমার সব আছে।
ওই দূর সুদূরপ্রসারী মেঘ সে আমায় সাজাবে
যা আগে কেউ কোনো দিন সাজেনি তেমন করে
রূপ কথার পরী জান? হ্যাঁ ঠিক তেমন সুন্দর
মেঘের নরম শরীর দেবে আমায় লজ্জাবস্ত্র
শরীর জুড়ে রূপ দেবতার অলংকার
ও সখী বল না লাগবে তো আমায় অসাধারণ
সখী মুচকি হেসে কয় তা বিয়ের পাএ কই
সে বলে দেখ না নিচে সুদূরে দেখা যায় ওই
তবে মাটি? কেমন হবে মিলন?
যখন আসবো আমি ধেয়ে
নামবো মাটি চেয়ে
যখন গন্ধ হবে খিদের মতো শরীর পরশ বেয়ে,
বুঝবি তখন পাগলী সখী আমাদের মিলন হয়েছে
আমার সব তিক্ততা,
তিলে তিলে বেড়ে ওঠা একরাশ ক্ষত
সেদিন সব যাবে মূছে
ধুয়ে যাবো আমি আমার গন্তব্যের পথে
তবে সাবধান পাঁচ কান করিসনে
ওই দেহ ফাটা বজ্র চায় না আমার ভালো
ক্ষতির ওপর ক্ষতি সাজায় দিয়ে নিজের আলো
আমার সুখে ভাগ বসাতে পালটে সবটা
সে এমনি অহংকারী দেখায় নিজের ভাবটা
নে আর দেড়েক সময় পরেই তো যেতে হবে আমায়
সাজা দেখি ভালো করে
কই গাছের ফুলের মালা?
বাধবে কখন খোঁপা?
রতন আর চাই নে, রূপেই আমি লক্ষ্মী আজ,
যাবো নিজের পায়ে করে লাগবে নাকো পক্ষীরাজ।
চল্ আর দেরী করিস নাকো
যেতে হবে তাড়াতাড়ি
বজ্র ওঠার আগে দিতে হবে ফাঁকি
ও সখী বল না লাগছে আমায় ভালো
আমার তো শুকায় হাত পা
ও সখী।
এমন করে পরী সেজে বৃষ্টি মাটির বুকে
আছড়ে পরলেন সাধ করে অন্য কিছুর সুখে
মেঘের সাথী টাপুরটুপুর শব্দে এলো নেমে
মিলন হল বিষাদ শেষে ভয়টা গেল থেমে
প্রেমের প্রসার বিবেক রেখে আবেগ কাছে টানে
সময় শুধু অনুমানের শব্দ টুকু মানে।
©সুতপা
আমার বৃষ্টি
সে নাকি জেদ ধরেছে মনে,
আবার সাজতে হবে কনে।
শাড়ি? হ্যাঁ চাই তো তবে টকটকে লাল
যেটা সবাই বাসে ভালো সেই লাল
যা বধূ বধূ ছাপ দিয়ে যায় লাগে একেবারে অন্য
বললো উঁচিয়ে,
কোনো সওগাত আসেনি আমার সাজের জন্য?
কি দরকার আমার সব আছে।
ওই দূর সুদূরপ্রসারী মেঘ সে আমায় সাজাবে
যা আগে কেউ কোনো দিন সাজেনি তেমন করে
রূপ কথার পরী জান? হ্যাঁ ঠিক তেমন সুন্দর
মেঘের নরম শরীর দেবে আমায় লজ্জাবস্ত্র
শরীর জুড়ে রূপ দেবতার অলংকার
ও সখী বল না লাগবে তো আমায় অসাধারণ
সখী মুচকি হেসে কয় তা বিয়ের পাএ কই
সে বলে দেখ না নিচে সুদূরে দেখা যায় ওই
তবে মাটি? কেমন হবে মিলন?
যখন আসবো আমি ধেয়ে
নামবো মাটি চেয়ে
যখন গন্ধ হবে খিদের মতো শরীর পরশ বেয়ে,
বুঝবি তখন পাগলী সখী আমাদের মিলন হয়েছে
আমার সব তিক্ততা,
তিলে তিলে বেড়ে ওঠা একরাশ ক্ষত
সেদিন সব যাবে মূছে
ধুয়ে যাবো আমি আমার গন্তব্যের পথে
তবে সাবধান পাঁচ কান করিসনে
ওই দেহ ফাটা বজ্র চায় না আমার ভালো
ক্ষতির ওপর ক্ষতি সাজায় দিয়ে নিজের আলো
আমার সুখে ভাগ বসাতে পালটে সবটা
সে এমনি অহংকারী দেখায় নিজের ভাবটা
নে আর দেড়েক সময় পরেই তো যেতে হবে আমায়
সাজা দেখি ভালো করে
কই গাছের ফুলের মালা?
বাধবে কখন খোঁপা?
রতন আর চাই নে, রূপেই আমি লক্ষ্মী আজ,
যাবো নিজের পায়ে করে লাগবে নাকো পক্ষীরাজ।
চল্ আর দেরী করিস নাকো
যেতে হবে তাড়াতাড়ি
বজ্র ওঠার আগে দিতে হবে ফাঁকি
ও সখী বল না লাগছে আমায় ভালো
আমার তো শুকায় হাত পা
ও সখী।
এমন করে পরী সেজে বৃষ্টি মাটির বুকে
আছড়ে পরলেন সাধ করে অন্য কিছুর সুখে
মেঘের সাথী টাপুরটুপুর শব্দে এলো নেমে
মিলন হল বিষাদ শেষে ভয়টা গেল থেমে
প্রেমের প্রসার বিবেক রেখে আবেগ কাছে টানে
সময় শুধু অনুমানের শব্দ টুকু মানে।
©সুতপা
Monday, 29 May 2017
কল্পনা
অলীক কল্পনা
এতো বড়ো স্তম্ভ যুক্ত পাষাণ চেতনাবিহীন চেহারাটা নিয়ে উন্মুক্তের মতো দাড়িয়ে আছো, হে আকাশ তোমার ঠিক দাবি টা কী?
তাকালেই তো ছড়ানো কাপড়ের মতো মলিনতা ছড়িয়ে উদারতার দেখাও।
তা কি তবে অহংকার নাকি মায়াতে বেঁধেছে বলে এমন রূপ।
পুরান কথার মতো যাদের স্থান অক্ষয়লোকে হয় তাদের নাকি আপনার কাছে জমা রাখা হয় অগুনতি তারা রূপে। তবে পাওনাদাররা চাইছেল তুমি তোমার সঞ্চয় ফিরিয়ে দাও? নাকি মুখ ঘুরিয়ে অভিমানী স্বরে বলো 'এ আমার প্রাপ্য ছিল আমার কাছেই থাক'।
বুঝি না তোমার এতো বড়ো গঠন কি সত্যিই বর্তমান নাকি মিছা নাকি আমার ছোটো দুটি চোখে সম্পূর্ণ টা আসে না।।।।
©সুতপা
এতো বড়ো স্তম্ভ যুক্ত পাষাণ চেতনাবিহীন চেহারাটা নিয়ে উন্মুক্তের মতো দাড়িয়ে আছো, হে আকাশ তোমার ঠিক দাবি টা কী?
তাকালেই তো ছড়ানো কাপড়ের মতো মলিনতা ছড়িয়ে উদারতার দেখাও।
তা কি তবে অহংকার নাকি মায়াতে বেঁধেছে বলে এমন রূপ।
পুরান কথার মতো যাদের স্থান অক্ষয়লোকে হয় তাদের নাকি আপনার কাছে জমা রাখা হয় অগুনতি তারা রূপে। তবে পাওনাদাররা চাইছেল তুমি তোমার সঞ্চয় ফিরিয়ে দাও? নাকি মুখ ঘুরিয়ে অভিমানী স্বরে বলো 'এ আমার প্রাপ্য ছিল আমার কাছেই থাক'।
বুঝি না তোমার এতো বড়ো গঠন কি সত্যিই বর্তমান নাকি মিছা নাকি আমার ছোটো দুটি চোখে সম্পূর্ণ টা আসে না।।।।
©সুতপা
Saturday, 29 April 2017
তোমার জন্য
( ব্রততী সংগ্রহ )
দুঃখ কিসের রাগ করো না হারায় নি তো কিছু
স্বপ্ন টাকেই ছুটতে দিও তোমার পিছু পিছু।
ছেলে বেলার দিন গুলো হোক একটু রুটিন ছাড়া
দাও সরিয়ে মাথা থেকে হাজার কাজের তাড়া।
শৈশব টা বন্দি না হয় পাখির মতো খাঁচার
ছেলে বেলা থাকুক সবার মুক্ত মনে বাঁচার।
খেলার ছলে শিখবে সবই তাই যেন হয়
মানুষ হওয়াই বড়ো কথা প্রথম হওয়া নয়।
প্রথম হওয়ার দৌড় থেকে সরবে তুমি যতই
ছেলেবেলা ফিরবে আবার ছেলে বেলার মতোই।
দুঃখ কিসের রাগ করো না হারায় নি তো কিছু
স্বপ্ন টাকেই ছুটতে দিও তোমার পিছু পিছু।
ছেলে বেলার দিন গুলো হোক একটু রুটিন ছাড়া
দাও সরিয়ে মাথা থেকে হাজার কাজের তাড়া।
শৈশব টা বন্দি না হয় পাখির মতো খাঁচার
ছেলে বেলা থাকুক সবার মুক্ত মনে বাঁচার।
খেলার ছলে শিখবে সবই তাই যেন হয়
মানুষ হওয়াই বড়ো কথা প্রথম হওয়া নয়।
প্রথম হওয়ার দৌড় থেকে সরবে তুমি যতই
ছেলেবেলা ফিরবে আবার ছেলে বেলার মতোই।
Thursday, 27 April 2017
উদয়
উচ্ছাসে রোদ কানায় কানায় সকাল তুমি ভীষন সরল
উন্মাদনায় কেটে আসা রাতের থেকেও অনেক তরল।
আলো তুমি মূছতে পারো গভীর রাতের কালো পাপ
ঘেরাও করা বন্দি মনের ভাবনা এখন অনুতাপ।
না তা একে বারেই হয় না ওঠরে এবার নিজের মতো
কথা দেওয়া আলোই তো ঢাকবে তোর রাতের ক্ষত।
পুরুষ নারী নির্বিশেষে কাজের টানে প্রভাত সবে
আলো স্রোতে বাকিটুকু শব্দ মেপে করতে হবে।
সরল হোক বা সহজই হোক আঁকতে হবে বিশ্ব গোটা
রং তুলিটা বেধে দিলেই বাস্তবের বৃষ্টি হবে ছিটেফোঁটা।
©সুতপা
Monday, 3 April 2017
নষ্ট
গল্প /আবেগ - অতৃপ্ত
পুরোনো সেতার আর আমার নষ্ট চরিত্রের মাঝে টানটান করা এক আলগোছে তুমি।।
তাও দেখো আমাদের বিক্ষিপ্ত প্রেমের কথা যেন শত শত তারার কন্ঠে বেজে ওঠে বার। যেন কত শতাব্দী ধরে তারা আমাদের গল্প লিখতে চেয়েছিল।।
সংসার আমারও ছিল কিন্তু তার জগৎ ছিল বাস্তববাদী দের ভিড়ে হারিয়ে, যা আমার কাছে এক দম বন্ধ করা পরিবেশ হয়ে উঠেছিল তার আমি তোমার কল্পনায় নিজেকে নিঃসঙ্কোচে সাজিয়েছিলাম।
এতদিন সহবাসের পর তুমি আমায় তোমার পৃথিবীর কথা শোনালে, যেখানে তোমার বাস্তবের সংসার, তাই অন্য কোথাও একার মতো আস্তানা নিতে চলে যাচ্ছি আজ, তুমি ভালো থাকবে হয়তো কিন্তু আমার কলঙ্কিত দেহটি এবার বাস্তবে।
এই কথাগুলি মনে নাড়া দিতে দিতে একটা লম্বা চওড়া অনুরাগের চিঠি লিখে বেরিয়ে এলাম। তখন প্রায় বারোটা ছুইঁছুইঁ।। গর্জে ওঠা রোদের আলোয় সব কল্পনা আবার মিলিয়ে গেল।।
©সুতপা
পুরোনো সেতার আর আমার নষ্ট চরিত্রের মাঝে টানটান করা এক আলগোছে তুমি।।
তাও দেখো আমাদের বিক্ষিপ্ত প্রেমের কথা যেন শত শত তারার কন্ঠে বেজে ওঠে বার। যেন কত শতাব্দী ধরে তারা আমাদের গল্প লিখতে চেয়েছিল।।
সংসার আমারও ছিল কিন্তু তার জগৎ ছিল বাস্তববাদী দের ভিড়ে হারিয়ে, যা আমার কাছে এক দম বন্ধ করা পরিবেশ হয়ে উঠেছিল তার আমি তোমার কল্পনায় নিজেকে নিঃসঙ্কোচে সাজিয়েছিলাম।
এতদিন সহবাসের পর তুমি আমায় তোমার পৃথিবীর কথা শোনালে, যেখানে তোমার বাস্তবের সংসার, তাই অন্য কোথাও একার মতো আস্তানা নিতে চলে যাচ্ছি আজ, তুমি ভালো থাকবে হয়তো কিন্তু আমার কলঙ্কিত দেহটি এবার বাস্তবে।
এই কথাগুলি মনে নাড়া দিতে দিতে একটা লম্বা চওড়া অনুরাগের চিঠি লিখে বেরিয়ে এলাম। তখন প্রায় বারোটা ছুইঁছুইঁ।। গর্জে ওঠা রোদের আলোয় সব কল্পনা আবার মিলিয়ে গেল।।
©সুতপা
Sunday, 26 March 2017
Friday, 17 March 2017
বিলুপ্ত
হারিয়ে গেছে আলু পোস্ত, chinese এর ভিড়ে।
বাঙালির জলখাবার এখন samba, উপমা ঘিরে।।
নেহাত তোমার বিরিয়ানি বিয়েবাড়ির চল।
ভুলেছো কী গরম ভাতে,বেগুন ভাজা সাথে ঘী এর ঢল।।
Cafe এ গুলো ভর্তি দেখো আড্ডা সাজের ফাঁকে।
Koffee house টা থমকে গেছে কলেজ স্ট্রিটের বাকেঁ।।
Cold, hot এর বাহার করে cappuccino গোলে।
মাটির ভাড়েঁর আভিজাত্য কাজে লাগেনা
তাকে ঘিরে এখন শুধু কভার ফোটো তোলে।।
Fascination কেটে দিলো ডাল আলুভাতে।
বাঙালি এখন idly, dhosay জীবন টাকে মাপে।।
©সুতপা
বাঙালির জলখাবার এখন samba, উপমা ঘিরে।।
নেহাত তোমার বিরিয়ানি বিয়েবাড়ির চল।
ভুলেছো কী গরম ভাতে,বেগুন ভাজা সাথে ঘী এর ঢল।।
Cafe এ গুলো ভর্তি দেখো আড্ডা সাজের ফাঁকে।
Koffee house টা থমকে গেছে কলেজ স্ট্রিটের বাকেঁ।।
Cold, hot এর বাহার করে cappuccino গোলে।
মাটির ভাড়েঁর আভিজাত্য কাজে লাগেনা
তাকে ঘিরে এখন শুধু কভার ফোটো তোলে।।
Fascination কেটে দিলো ডাল আলুভাতে।
বাঙালি এখন idly, dhosay জীবন টাকে মাপে।।
©সুতপা
অহংকার পতনের কারণ
মানুষের কিসের এতো অহংকার।
যেথায় এসব মানুষ দ্বারা উৎপন্ন সময় মতো
রেখে যাবে শেষের দিনে ঠান্ডা দেহ ক্ষত বিক্ষত
তাও মানুষের কিসের এতো অহংকার।।
জন্মে বুঝি বিরাট কিছু পেয়ে গেছো মূলে।
বুদ্ধি টুকু শেষের নেশায় খেয়ে নিয়েছো গুলে।।
যে শরীর তোমার ছিল থাকবে নাকো আর।
সময় বুঝে সবটি ভুলে ভালো হওয়ার তরে
ছেড়ে দাও মনের সব টুকরো অহংকার।।
থাকলে ভালো সবার সাথে চলবে মিলে মিশে।
অহেতুক ঝগড়াঝাঁটি, মন্দ কথা রাখবে বলো কিসে।।
অহংবোধে মানবতার খুন টি করে তুমি।
যতই বলো ভাল কথা তোমায় মনে রাখবে নাকো ভূমি।।
সৃষ্টি যেথায় এতো বড়ো সবার যেথায় স্থান।
বলি কি শোনো অহং ছেড়ে রাখো নিজের মান।।
©সুতপা
যেথায় এসব মানুষ দ্বারা উৎপন্ন সময় মতো
রেখে যাবে শেষের দিনে ঠান্ডা দেহ ক্ষত বিক্ষত
তাও মানুষের কিসের এতো অহংকার।।
জন্মে বুঝি বিরাট কিছু পেয়ে গেছো মূলে।
বুদ্ধি টুকু শেষের নেশায় খেয়ে নিয়েছো গুলে।।
যে শরীর তোমার ছিল থাকবে নাকো আর।
সময় বুঝে সবটি ভুলে ভালো হওয়ার তরে
ছেড়ে দাও মনের সব টুকরো অহংকার।।
থাকলে ভালো সবার সাথে চলবে মিলে মিশে।
অহেতুক ঝগড়াঝাঁটি, মন্দ কথা রাখবে বলো কিসে।।
অহংবোধে মানবতার খুন টি করে তুমি।
যতই বলো ভাল কথা তোমায় মনে রাখবে নাকো ভূমি।।
সৃষ্টি যেথায় এতো বড়ো সবার যেথায় স্থান।
বলি কি শোনো অহং ছেড়ে রাখো নিজের মান।।
©সুতপা
ভাবা কী যায়না
আমরা মানুষেরা কতই না ছোটো ঘটনায় তিক্ত হয়ে উঠি। এটা না পেলে ওই টা না পেলে কেঁদে কেটে গঙ্গা বানানোর প্রচেষ্টা টুকুও বাদ দি না। আজ পার্টি, কাল সিনেমা ওই দিন বড়ো প্ল্যান এই দিন ছোটো প্ল্যান। জীবনটা সত্যিই হারিয়ে গেছে এত ফ্যাসিনেশন এর মধ্যে। কিন্তু কখনও কি ভেবে দেখি আমাদের কিছু ঠাট্টার মধ্যে লুকিয়ে থাকতে পারে বহু প্রানের আর্তনাদ।
ভাবি কী?????
কেনই বা ভাবতে যাব মশাই।
ভাবার সময় কই আমাদের।
আমার বাবা উকিল, মাস গেলে খানিক গোছের মোটা টাকা দিয়ে দিচ্ছে। বিগ বাজারের জন্য, তারপর তো হেন রেস্তোরাঁ আছে, নাম করা ক্যাফে আছে।।
আমার বাবাও ডাক্তার বা ইন্জিনিয়ার
আমারও ওই একই লাইফস্টাইল।
কিন্তু যার বাবা পথে বসে ভিক্ষা করেন??
যে বাচ্চা মিড ডে মিল খাবারেও নিজের স্বপ্নে দেখা মহাভোগ খোঁজে।।
ভাবতে পারি না কী তাদের কথা????
ভিক্টোরিয়ার রাজপথে যখন বড়ো গাড়ির মধ্যে বন্ধুর সাথে চুলাচুলির শব্দ, তখন কাচের বাইরে জীর্ণ শরীরে বেকেঁ যাওয়া কন্ঠে বাচ্ছাটির ফুল কেনার অনুরোধ কেন ভাবায় না আমাদের।
কী করে ভাবাবে আমাদের কানে তখন বড়ো ডায়াল ওয়ালা হেড ফোন, বেচারার ক্ষুধার্ত আর্তনাদ আমরা কেমন করেই বা শুনব।।
নিজেদের রেষারেষিতে প্রায় সব কিছুই তো শেষ।।
আবার মানবিকতা।।।। ।।।।।
©সুতপা
ভাবি কী?????
কেনই বা ভাবতে যাব মশাই।
ভাবার সময় কই আমাদের।
আমার বাবা উকিল, মাস গেলে খানিক গোছের মোটা টাকা দিয়ে দিচ্ছে। বিগ বাজারের জন্য, তারপর তো হেন রেস্তোরাঁ আছে, নাম করা ক্যাফে আছে।।
আমার বাবাও ডাক্তার বা ইন্জিনিয়ার
আমারও ওই একই লাইফস্টাইল।
কিন্তু যার বাবা পথে বসে ভিক্ষা করেন??
যে বাচ্চা মিড ডে মিল খাবারেও নিজের স্বপ্নে দেখা মহাভোগ খোঁজে।।
ভাবতে পারি না কী তাদের কথা????
ভিক্টোরিয়ার রাজপথে যখন বড়ো গাড়ির মধ্যে বন্ধুর সাথে চুলাচুলির শব্দ, তখন কাচের বাইরে জীর্ণ শরীরে বেকেঁ যাওয়া কন্ঠে বাচ্ছাটির ফুল কেনার অনুরোধ কেন ভাবায় না আমাদের।
কী করে ভাবাবে আমাদের কানে তখন বড়ো ডায়াল ওয়ালা হেড ফোন, বেচারার ক্ষুধার্ত আর্তনাদ আমরা কেমন করেই বা শুনব।।
নিজেদের রেষারেষিতে প্রায় সব কিছুই তো শেষ।।
আবার মানবিকতা।।।। ।।।।।
©সুতপা
বাস্তববাদী
বাস্তব তুমি কঠিন বড়ো।
একা থেকে গুচ্ছ খানিক অনুভূতির দ্বারা
শুকিয়ে গেছি কোন গঠিকায় মানব স্বজন হারা
বাস্তব তুমি কঠিন বড়ো।
এই যে বলো একা থেকে অন্তরের সত্ত্বা চেনা যায়
কিন্তু একাকীত্বের সহিত থেকে মানুষ বড়ই কষ্ট পায়
রূপক কথা শোনাই ভালো বাস্তবতা সঙ্গে থাক
প্রয়াস করা কর্ম গুলো চেতনা যুক্ত করা যাক
তাও বাস্তব তুমি বড়োই কঠিন।
- - - - - - - ©সুতপা
একা থেকে গুচ্ছ খানিক অনুভূতির দ্বারা
শুকিয়ে গেছি কোন গঠিকায় মানব স্বজন হারা
বাস্তব তুমি কঠিন বড়ো।
এই যে বলো একা থেকে অন্তরের সত্ত্বা চেনা যায়
কিন্তু একাকীত্বের সহিত থেকে মানুষ বড়ই কষ্ট পায়
রূপক কথা শোনাই ভালো বাস্তবতা সঙ্গে থাক
প্রয়াস করা কর্ম গুলো চেতনা যুক্ত করা যাক
তাও বাস্তব তুমি বড়োই কঠিন।
- - - - - - - ©সুতপা
Thursday, 9 March 2017
Wednesday, 8 March 2017
বৃষ্টি আমার বন্ধু
আজ অনেকদিন পর আবার নিজের সাথে সময় কাটালাম।।
জানেন তা কেমন করে??
বৃষ্টি সংযোগে । ছোট্ট থেকেই বড্ড বেশি ভাব আমার এই বৃষ্টির সাথে।। যখন উঁচু জানালার উপর উঠে বসতাম, একা, আনমনা একটা শূন্য মনকে নিয়ে ঠিক তখনই ঝমঝম করে বন্ধুত্ব পাতাতে আসত আমার প্রিয় বৃষ্টি।
তখন আমার উষ্ণ ব্যাকুল মনকে চট করে শীতল করে তুলতে থাকত। আমি বৃষ্টি সহিত খেলব বলে ছোটো হাত দুটো জানালার বাইরে বের করলেই বৃষ্টি তার বাড়ির পথে রওনা দিত।
আমার পুরানো কল্পনা গুলো ভিজিয়ে চলে যেত যাতে আমি নতুন করে ভাবতে পারি আবার
আবার।।।।
জানেন তা কেমন করে??
বৃষ্টি সংযোগে । ছোট্ট থেকেই বড্ড বেশি ভাব আমার এই বৃষ্টির সাথে।। যখন উঁচু জানালার উপর উঠে বসতাম, একা, আনমনা একটা শূন্য মনকে নিয়ে ঠিক তখনই ঝমঝম করে বন্ধুত্ব পাতাতে আসত আমার প্রিয় বৃষ্টি।
তখন আমার উষ্ণ ব্যাকুল মনকে চট করে শীতল করে তুলতে থাকত। আমি বৃষ্টি সহিত খেলব বলে ছোটো হাত দুটো জানালার বাইরে বের করলেই বৃষ্টি তার বাড়ির পথে রওনা দিত।
আমার পুরানো কল্পনা গুলো ভিজিয়ে চলে যেত যাতে আমি নতুন করে ভাবতে পারি আবার
আবার।।।।
Tuesday, 7 March 2017
আছি তো আমি
অকালে হারিয়ে যাওয়া শ্রদ্ধেয় প্রিয় শিল্পী অক্ষয়লোকে আপনি ভালো থাকিবেন।।
**আছি তো আমি **
জন্ম তুমি দিলে মাগো খানিক মাসের পরে।
খুশির ছটায় প্রভাত হল তোমার গড়া ঘরে।।
তখন সবে দু’মাস আমি কোলের ভিতর তোমার।
পুরোহিত সাধিত হয়ে নামকরণ হল আমার।।
ধীরে ধীরে বড়ো হয়ে উঠতে চলেছি যখন।
জীবন ধারার মধ্যে নতুন বাক্য শেখা তখন।।
একদা আমি স্কুল গন্ডি পেরিয়ে তোমার ঘরে।
উচ্চশিক্ষার এবার পালা বিয়ে হবে পরে।।
এখন আমি চাকরি করি, শিল্প আমার কাজ।
এইটুকু ছেলের মাথায় রূপক কথার রাজ।।
ধীরে ধীরে সবার সাথে আমি মিলে মিশে।
'সাবাস' বলে চাবরে পিঠে বড়রা কয় হেসে।।
দুয়ার আগায় তুমি তখন গর্ভের পরে 'তাজ'।
জন্ম আমার সার্থক মাগো বুঝে উঠলাম আজ।।
তোমার ছায়ার মতো করে সংসার ভার নিলাম।
চিত্রকরের মতোন আমি সুখ একে দিলাম।।
ভালোবাসায়, গুণের মানে ছড়িয়ে গেল আমার কাজ।
খ্যাতনামা, ভালোবাসায় বড়ো শিল্পী আমি আজ।।
ছেলের কাজে মুগ্ধ তুমি মুগ্ধ বন্ধু প্রমুখ।
খুশি আমি কাজের দ্বারা দিতে পেরে সুখ।।
আসতে আসতে সময় মাপে সৃষ্টিকর্তা তুমি।
কেড়ে নেবে সাধনার জীবন ভাবতে পারিনি আমি।।
ফিরবে বলে ফেরা হলনা সময় কালে তাঁর।
মৃত্যু তাঁকে বরন করিয়ে মানিয়ে নিল হার।।
অসহায় বন্ধু মন জানি আবার উঠবে স্মৃতির বলে।
চিন্তা কেন?রহিব আমি আগের মতো বাংলা মায়ের কোলে।।
শেষ হয়েও আমি শেষ হব না শিল্পের শিল্পী থাকবো।
পরজন্মে তোমার কোলে মাগো আবার আমি আসবো।।
- - - - - - - ©সুতপা ত্রয়ী সেন
**আছি তো আমি **
জন্ম তুমি দিলে মাগো খানিক মাসের পরে।
খুশির ছটায় প্রভাত হল তোমার গড়া ঘরে।।
তখন সবে দু’মাস আমি কোলের ভিতর তোমার।
পুরোহিত সাধিত হয়ে নামকরণ হল আমার।।
ধীরে ধীরে বড়ো হয়ে উঠতে চলেছি যখন।
জীবন ধারার মধ্যে নতুন বাক্য শেখা তখন।।
একদা আমি স্কুল গন্ডি পেরিয়ে তোমার ঘরে।
উচ্চশিক্ষার এবার পালা বিয়ে হবে পরে।।
এখন আমি চাকরি করি, শিল্প আমার কাজ।
এইটুকু ছেলের মাথায় রূপক কথার রাজ।।
ধীরে ধীরে সবার সাথে আমি মিলে মিশে।
'সাবাস' বলে চাবরে পিঠে বড়রা কয় হেসে।।
দুয়ার আগায় তুমি তখন গর্ভের পরে 'তাজ'।
জন্ম আমার সার্থক মাগো বুঝে উঠলাম আজ।।
তোমার ছায়ার মতো করে সংসার ভার নিলাম।
চিত্রকরের মতোন আমি সুখ একে দিলাম।।
ভালোবাসায়, গুণের মানে ছড়িয়ে গেল আমার কাজ।
খ্যাতনামা, ভালোবাসায় বড়ো শিল্পী আমি আজ।।
ছেলের কাজে মুগ্ধ তুমি মুগ্ধ বন্ধু প্রমুখ।
খুশি আমি কাজের দ্বারা দিতে পেরে সুখ।।
আসতে আসতে সময় মাপে সৃষ্টিকর্তা তুমি।
কেড়ে নেবে সাধনার জীবন ভাবতে পারিনি আমি।।
ফিরবে বলে ফেরা হলনা সময় কালে তাঁর।
মৃত্যু তাঁকে বরন করিয়ে মানিয়ে নিল হার।।
অসহায় বন্ধু মন জানি আবার উঠবে স্মৃতির বলে।
চিন্তা কেন?রহিব আমি আগের মতো বাংলা মায়ের কোলে।।
শেষ হয়েও আমি শেষ হব না শিল্পের শিল্পী থাকবো।
পরজন্মে তোমার কোলে মাগো আবার আমি আসবো।।
- - - - - - - ©সুতপা ত্রয়ী সেন
Saturday, 4 March 2017
মান_হুষ
( মান_হুষ )
চেতনা তুমি উধাও কেন মৃত্যুর ডাকে ভয় পেয়ে |
দাও সারা যদি মানব ধর্ম বড় হয় বাকিসব চেয়ে ||
অন্যত্র সাহস তুমি নিন্দাবাজে শ্রেয় হও |
আসল কথা অন্যত্র না নিজেরে নিজেই ভয় পাও ||
নিজের টুকু বুঝে নিয়ে পিছন পথে সরে যাও |
বাকি সবার বাইরে থেকে সার্থ নিয়ে হিসাব চাও ||
মানুষ তুমি বড়ই জটিল তোমায় বোঝার দায় কার |
ধিক্কার তোমায় আমিও মানুষ, বিবেক মারা গেছে যার ||
--------------------(সুতপা)
চেতনা তুমি উধাও কেন মৃত্যুর ডাকে ভয় পেয়ে |
দাও সারা যদি মানব ধর্ম বড় হয় বাকিসব চেয়ে ||
অন্যত্র সাহস তুমি নিন্দাবাজে শ্রেয় হও |
আসল কথা অন্যত্র না নিজেরে নিজেই ভয় পাও ||
নিজের টুকু বুঝে নিয়ে পিছন পথে সরে যাও |
বাকি সবার বাইরে থেকে সার্থ নিয়ে হিসাব চাও ||
মানুষ তুমি বড়ই জটিল তোমায় বোঝার দায় কার |
ধিক্কার তোমায় আমিও মানুষ, বিবেক মারা গেছে যার ||
--------------------(সুতপা)
মান_হুশ
( মান_হুষ )
চেতনা তুমি উধাও কেন মৃত্যুর ডাকে ভয় পেয়ে |
দাও সারা যদি মানব ধর্ম বড় হয় বাকিসব চেয়ে ||
অন্যত্র সাহস তুমি নিন্দাবাজে শ্রেয় হও |
আসল কথা অন্যত্র না নিজেরে নিজেই ভয় পাও ||
নিজের টুকু বুঝে নিয়ে পিছন পথে সরে যাও |
বাকি সবার বাইরে থেকে সার্থ নিয়ে হিসাব চাও ||
মানুষ তুমি বড়ই জটিল তোমায় বোঝার দায় কার |
ধিক্কার তোমায় আমিও মানুষ, বিবেক মারা গেছে যার ||
--------------------(সুতপা)
চেতনা তুমি উধাও কেন মৃত্যুর ডাকে ভয় পেয়ে |
দাও সারা যদি মানব ধর্ম বড় হয় বাকিসব চেয়ে ||
অন্যত্র সাহস তুমি নিন্দাবাজে শ্রেয় হও |
আসল কথা অন্যত্র না নিজেরে নিজেই ভয় পাও ||
নিজের টুকু বুঝে নিয়ে পিছন পথে সরে যাও |
বাকি সবার বাইরে থেকে সার্থ নিয়ে হিসাব চাও ||
মানুষ তুমি বড়ই জটিল তোমায় বোঝার দায় কার |
ধিক্কার তোমায় আমিও মানুষ, বিবেক মারা গেছে যার ||
--------------------(সুতপা)
Friday, 3 March 2017
পৌষ কল্পনায়
*** (পৌষ কল্পনা)***
ঠান্ডা কুয়াশার চাদর ভেঙে হাতছানি দিচ্ছে শীতের বেলা,
মনোরম আমেজে ব্যঘাত এনে কেটেই যাবে সে পৌষ মেলা |
পিঠের বাহার, মিষ্টির ভাঁড় সব ছেড়ে চলে যাবে আজ দিনের সাথে,
নাগাল ফুরিয়ে সব পেটের ভিতরে শেষ হবে আজ হাতে হাতে|
অনুমান করি বেলা সেরে উঠে আবার পৌষ বুঝি আসবে ফাঁকে,
মিষ্টান্ন আর নবান্ন মিলে মিশে হয়েছে সব এক ঝাঁকে |
বাঙালিয়ানায় সব এক সেরা মেতেছে মন যেন এক উদ্দেশ্যে,
কল্পনা ছেড়ে যদি তাকাই পানে একই পথ চলেছে আজ নিরুদ্দেশে |
--------------------- সুপ্রভাত ''''''''''''
ঠান্ডা কুয়াশার চাদর ভেঙে হাতছানি দিচ্ছে শীতের বেলা,
মনোরম আমেজে ব্যঘাত এনে কেটেই যাবে সে পৌষ মেলা |
পিঠের বাহার, মিষ্টির ভাঁড় সব ছেড়ে চলে যাবে আজ দিনের সাথে,
নাগাল ফুরিয়ে সব পেটের ভিতরে শেষ হবে আজ হাতে হাতে|
অনুমান করি বেলা সেরে উঠে আবার পৌষ বুঝি আসবে ফাঁকে,
মিষ্টান্ন আর নবান্ন মিলে মিশে হয়েছে সব এক ঝাঁকে |
বাঙালিয়ানায় সব এক সেরা মেতেছে মন যেন এক উদ্দেশ্যে,
কল্পনা ছেড়ে যদি তাকাই পানে একই পথ চলেছে আজ নিরুদ্দেশে |
--------------------- সুপ্রভাত ''''''''''''
গল্প হলেও নিছক সত্যি সে সব দিক, যার চর্চা পৃথিবীর ধরা তোলে
বলবো আজ সেই গল্প যারা দোষ চক্রে না খেতে পেয়ে মরে.
দেশ ভাগের সূচনায় যা শুরু, মানুষ ভাগের কর্মে যা শেষ
এই নিয়ে ওঠে লড়াই, এই নিয়ে গড়েছে আমাদের দেশ.
মানবতার আরশী নগর, ঝোপে ঝাড়ে যায় লুকিয়ে
মানব বীজের স্বাধীন গাছ অনাহারে যায় শুকিয়ে.
আমরা ভারি অদ্ভুত জীব, রক্ত মাংস বিচরণ
সত্য কথা লুকিয়ে রেখে অন্যায় কে করি বরন.
দেশের মাটি, দশ এর মাঠি সকল মিলে বাঁচবে কি ভাই
ধনী,গরীব ভাগাভাগি, জাত পাতের ওঃ ভাগাভাগি চাই.
সমাজের যে কি মানুষ যা দুই ভাগে ভাগ হয়ে যায়
কর্মের ভাগে জীবন বাধা কেউ সুখ মজায় আর কেউ দুঃখ পায়.
ভিত্তি করে দাস প্রথাকে গরীব গেলো বিকিয়ে
কায়দা করে দুঃখের বোঝা তাদের ঘরে মালিক দিলো চাপিয়ে.
কষ্টের ঘায়ে, জীবন পর্যায়ে , গরীব হরির এ নাম দিন কাটায়
বড়ো বাবার ধনী ছেলে ভারী পকেট এ মজা ওড়ায় .
মাথার ঘাম পায়ে ফেলে কর্মজীবি কর্ম পথে
ধনী লোকের মেজাজ দেখো কালো টাকায় বদ্ধ বটে.
গরীব মায়ের শিশুর পেট খিদায় দেখো জ্বলে যায়
অনাহারে মরে তারা মানবতা কোথায় হায়.
বড়ো লোকের ছেলের দেখো বড়ো গাড়ির অভাব নেই
মানুষ মারার তালে দেখো মানুষ চাপা দিয়ে যায়.
হরেক রকম কান্ড সেসব মানবতার দংশনে
অভিজ্ঞতার স্মৃতিএকা মৃত দেহের সেই মনে.
- @সুতপা ত্রয়ী সেন
বলবো আজ সেই গল্প যারা দোষ চক্রে না খেতে পেয়ে মরে.
দেশ ভাগের সূচনায় যা শুরু, মানুষ ভাগের কর্মে যা শেষ
এই নিয়ে ওঠে লড়াই, এই নিয়ে গড়েছে আমাদের দেশ.
মানবতার আরশী নগর, ঝোপে ঝাড়ে যায় লুকিয়ে
মানব বীজের স্বাধীন গাছ অনাহারে যায় শুকিয়ে.
আমরা ভারি অদ্ভুত জীব, রক্ত মাংস বিচরণ
সত্য কথা লুকিয়ে রেখে অন্যায় কে করি বরন.
দেশের মাটি, দশ এর মাঠি সকল মিলে বাঁচবে কি ভাই
ধনী,গরীব ভাগাভাগি, জাত পাতের ওঃ ভাগাভাগি চাই.
সমাজের যে কি মানুষ যা দুই ভাগে ভাগ হয়ে যায়
কর্মের ভাগে জীবন বাধা কেউ সুখ মজায় আর কেউ দুঃখ পায়.
ভিত্তি করে দাস প্রথাকে গরীব গেলো বিকিয়ে
কায়দা করে দুঃখের বোঝা তাদের ঘরে মালিক দিলো চাপিয়ে.
কষ্টের ঘায়ে, জীবন পর্যায়ে , গরীব হরির এ নাম দিন কাটায়
বড়ো বাবার ধনী ছেলে ভারী পকেট এ মজা ওড়ায় .
মাথার ঘাম পায়ে ফেলে কর্মজীবি কর্ম পথে
ধনী লোকের মেজাজ দেখো কালো টাকায় বদ্ধ বটে.
গরীব মায়ের শিশুর পেট খিদায় দেখো জ্বলে যায়
অনাহারে মরে তারা মানবতা কোথায় হায়.
বড়ো লোকের ছেলের দেখো বড়ো গাড়ির অভাব নেই
মানুষ মারার তালে দেখো মানুষ চাপা দিয়ে যায়.
হরেক রকম কান্ড সেসব মানবতার দংশনে
অভিজ্ঞতার স্মৃতিএকা মৃত দেহের সেই মনে.
- @সুতপা ত্রয়ী সেন
গরীব তুমি
গল্প হলেও নিছক সত্যি সে সব দিক, যার চর্চা পৃথিবীর ধরা তোলে
বলবো আজ সেই গল্প যারা দোষ চক্রে
না খেতে পেয়ে মরে.
দেশ ভাগের সূচনায় যা শুরু, মানুষ ভাগের কর্মে যা শেষ
এই নিয়ে ওঠে লড়াই, এই নিয়ে গড়েছে আমাদের দেশ.
মানবতার আরশী নগর, ঝোপে ঝাড়ে যায় লুকিয়ে
মানব বীজের স্বাধীন গাছ অনাহারে যায় শুকিয়ে.
আমরা ভারি অদ্ভুত জীব, রক্ত মাংস বিচরণ
সত্য কথা লুকিয়ে রেখে অন্যায় কে করি বরন.
দেশের মাটি, দশ এর মাঠি সকল মিলে বাঁচবে কি ভাই
ধনী,গরীব ভাগাভাগি, জাত পাতের ওঃ ভাগাভাগি চাই.
সমাজের যে কি মানুষ যা দুই ভাগে ভাগ হয়ে যায়
কর্মের ভাগে জীবন বাধা কেউ সুখ মজায় আর কেউ দুঃখ পায়.
ভিত্তি করে দাস প্রথাকে গরীব গেলো বিকিয়ে
কায়দা করে দুঃখের বোঝা তাদের ঘরে মালিক দিলো চাপিয়ে.
কষ্টের ঘায়ে, জীবন পর্যায়ে , গরীব হরির এ নাম দিন কাটায়
বড়ো বাবার ধনী ছেলে ভারী পকেট এ মজা ওড়ায় .
মাথার ঘাম পায়ে ফেলে কর্মজীবি কর্ম পথে
ধনী লোকের মেজাজ দেখো কালো টাকায় বদ্ধ বটে.
গরীব মায়ের শিশুর পেট খিদায় দেখো জ্বলে যায়
অনাহারে মরে তারা মানবতা কোথায় হায়.
বড়ো লোকের ছেলের দেখো বড়ো গাড়ির অভাব নেই
মানুষ মারার তালে দেখো মানুষ চাপা দিয়ে যায়.
হরেক রকম কান্ড সেসব মানবতার দংশনে
অভিজ্ঞতার স্মৃতিএকা মৃত দেহের সেই মনে.
------ @সুতপা ত্রয়ী সেন
বলবো আজ সেই গল্প যারা দোষ চক্রে
না খেতে পেয়ে মরে.
দেশ ভাগের সূচনায় যা শুরু, মানুষ ভাগের কর্মে যা শেষ
এই নিয়ে ওঠে লড়াই, এই নিয়ে গড়েছে আমাদের দেশ.
মানবতার আরশী নগর, ঝোপে ঝাড়ে যায় লুকিয়ে
মানব বীজের স্বাধীন গাছ অনাহারে যায় শুকিয়ে.
আমরা ভারি অদ্ভুত জীব, রক্ত মাংস বিচরণ
সত্য কথা লুকিয়ে রেখে অন্যায় কে করি বরন.
দেশের মাটি, দশ এর মাঠি সকল মিলে বাঁচবে কি ভাই
ধনী,গরীব ভাগাভাগি, জাত পাতের ওঃ ভাগাভাগি চাই.
সমাজের যে কি মানুষ যা দুই ভাগে ভাগ হয়ে যায়
কর্মের ভাগে জীবন বাধা কেউ সুখ মজায় আর কেউ দুঃখ পায়.
ভিত্তি করে দাস প্রথাকে গরীব গেলো বিকিয়ে
কায়দা করে দুঃখের বোঝা তাদের ঘরে মালিক দিলো চাপিয়ে.
কষ্টের ঘায়ে, জীবন পর্যায়ে , গরীব হরির এ নাম দিন কাটায়
বড়ো বাবার ধনী ছেলে ভারী পকেট এ মজা ওড়ায় .
মাথার ঘাম পায়ে ফেলে কর্মজীবি কর্ম পথে
ধনী লোকের মেজাজ দেখো কালো টাকায় বদ্ধ বটে.
গরীব মায়ের শিশুর পেট খিদায় দেখো জ্বলে যায়
অনাহারে মরে তারা মানবতা কোথায় হায়.
বড়ো লোকের ছেলের দেখো বড়ো গাড়ির অভাব নেই
মানুষ মারার তালে দেখো মানুষ চাপা দিয়ে যায়.
হরেক রকম কান্ড সেসব মানবতার দংশনে
অভিজ্ঞতার স্মৃতিএকা মৃত দেহের সেই মনে.
------ @সুতপা ত্রয়ী সেন
আমি নারী
আমি কোনো বহুমুখী প্রতিভা সম্পন্ন ব্যক্তি নই ,
না কোনো আলাদিনের আশ্চর্য প্রদীপ থেকে বেরিয়ে আসা অবতার
আমি এক নারী যাকে ঈস্বর কর্তা সৃষ্টি করেছেন, যাকে তোমরা দেবী বলেছ
কোমল হৃদয়ে ধারণ কারি আমি সেই নারী
নিজের হাতে বিশ্ব কে আমি নিজেই সৃষ্টি করতে পারি I
কিন্তু একি অবহেলা , নারী নিয়ে নতুন খেলা
যাকে আমার অংশ দিয়ে নিজের মধ্যে করি ধারণ
আমার গঠনে দাগ লাগিয়ে তারাই হয় মুখ্য কারণ I
দূর্গা বলে পুজাও যারে রাতে তারা হয় তোমার বাসনা
নারী আমি আঘাত পেয়ে থাকি এক কোনে আনমনা I
একদা তোমার পুরুষ সমাজ দুর্ভাগা তার লজ্জা নাম
নারী তোমার ধারিণীও বটে ভুলেছো কি তার দুধের দাম I
নারী নিয়ে ছেলেখেলা নারীর হাস্য করিস বটে
নারী তোকে ধারণ করে ভুলেছিস কি অকপটে I
আপন ধরে কষ্ট ভিড়ে কেমন করে বাচঁবে নারী
আঘাত আর যন্ত্রনাটা কষ্টদায়ক ভীষণ ভারী I
লুকিয়ে পড়া গুল্ম ঝোপে পরে থাকা এবার নারী
সময় বুঝে উঠবে ফুটে শক্তি দায়ক আবার নারী I
মাখবে গায়ে রেনুর পরশ আলোয় ভরা জগৎ সারি
আসবো আমি এলোকেশী শক্তি ধারণ একাই নারী I
চেতনা
শরীরের প্রতিটি অঙ্গের সাথে সর্বদাই চোখের এতো মিল যে, ক্ষতস্থান যে কোনোই অঙ্গই হোক না কেন ক্ষতিপূরণ সবসময় চোখ কেই দিতে হয় জল দিয়ে কেঁদে।।।। ।।।।
ঘুম
স্বপ্ন,জানি তুমি নামতে চলেছ ধীরে ধীরে। আসতে চলেছে আবার সেই নিরব রাত যার দৈর্ঘ্য, পরিধি সব মিলিয়ে নিলেও ভুল হয়েছে সঠিকভাবে মাপতে ঠিক জীবনের রচিত রঙিন ভুল গুলির মত।। এবার ঘুম নামবে সব বাস্তব অবাস্তব জীর্ণ পপপ্রভাবনা গুলো কে ভুলিয়ে। এবার ঘুম নামবে
গ্রীষ্ম
ভেজা সবুজ ঘাসের গন্ধ
মেঠো হাওয়ার আলিঙ্গন
কালবৈশাখীর নিম্ন দেশ
উৎকণ্ঠিত মনের রেশ
শুধু একটাই চিন্তায়, কবে তুমি আসবে '' গ্রীষ্ম ''
মেঠো হাওয়ার আলিঙ্গন
কালবৈশাখীর নিম্ন দেশ
উৎকণ্ঠিত মনের রেশ
শুধু একটাই চিন্তায়, কবে তুমি আসবে '' গ্রীষ্ম ''
ভাবনা
বিদ্রোহ তুমি করছ মন online থাকার বায়না ধরে।
যে ঘুমানোর সে ঘুমিয়ে গেছে বহুকাল আগের যাত্রা করে।।
যে ঘুমানোর সে ঘুমিয়ে গেছে বহুকাল আগের যাত্রা করে।।
Subscribe to:
Posts (Atom)
মাটির মা'র কথা
মাটির মা সশব্দে তৈরি হতে চলেছি ভালো আছিস তোরা? কতটা মাটি দিলে আরও সুন্দর হবো? নাকের কাছ টা বেঁকে গেছে ঠিক করে দে ওটা আমার চোখ গু...

-
মাটির মা সশব্দে তৈরি হতে চলেছি ভালো আছিস তোরা? কতটা মাটি দিলে আরও সুন্দর হবো? নাকের কাছ টা বেঁকে গেছে ঠিক করে দে ওটা আমার চোখ গু...