* ফিরে এসো মৃণাল *
হ্যালো: আজ মনে হয় একটু দেরি হলো
ভাঙ্গা আওয়াজে শুরু হল এবার
পূর্বের কথা আর আওরাই না ভুলেও
যার স্বাদ বড্ড তিক্ত আমার কাছে।
সময়ের রেশে পাড়ি দিলেও জীবন
ঘটে যাওয়া অনেক বলার আছে।
ঘটনা ছিল প্রায় না ঘটার ভানে
তালের সাথে পা মিলিয়ে চলা।
গোপন কথাসব সাজিয়ে মনে মনে
আবদারেতে সবটা তোমায় বলা।
তবে সব আবদার সাত বছর পর আবার
গুছিয়ে রেখে বলি হাহাকারে।
ফিরে এসো মৃণাল একটি বার
আমার দুচোখ থমকে আছে ভাঙা ঘরের দ্বারে।
আমিই কি একাই এক অভাগিনী স্ত্রী
অবহেলা যাকে দিয়েছিলে এক কালে।
অন্যায় সব আমার ভাগীদারি
যাকে রেখে গেছো একা নিজের হালে।
ফিরে এসো মৃণাল
আধ ভাঙা তৃষ্ণা নিয়ে বুকে।
দূরে গিয়ে ভালো আছো বুঝি?
ভেবেছো আমি আছি বড়ো সুখে।
রেডিও তখন প্রেমের গানে সুর বহরে ছটে
শূন্য ঘরও নিজের মতোন গুনগুনিয়ে উঠে।
সকাল এবার পা বাড়িয়ে বেলার দিকে যখন
কালোয় সাজা সন্ধ্যা একা নেমে গেছে কখন।
তুলসীমঞ্চে প্রদীপ দিয়ে যখন তোমায় ডাকি
নিজেই পরে তোমার স্বরে উওর দিয়ে থাকি।
অগোছালো তোমার ড্রয়িংরুমে ছড়িয়ে রাখা পেপার
গুছিয়ে রাখতাম আমিই তাই তোমায় বলা বেকার।
এখন রাতে আবার ছড়িয়ে ঘুমতে চলে যাই
ভোরের আগে উঠে সব আদরে গোছাই।
সাতটা বছর বড়ো তো নয় নাকি তা মিছে সান্ত্বনায়
পিঠ ঠেকেছে ঘরের কোণে কাতর ভরা যন্ত্রণায়।
চায়ের সাথে খবরকাগজ নিয়মিত রাখি ভরে
আওয়াজ করা সিলিংফ্যান চালিয়ে দিই হালকা করে।
স্নানের জল সরিয়ে রেখে মিছিমিছি বলি হেঁকে
'কোন সার্ট টা পরবে তুমি?'
'পানটা দেব সেজে তবে'
'যাচ্ছ বুঝি এই বেলা? আসবে আবার কখন কবে?'
সামলেছিলাম একাই সব
কষ্ট হলেও বলবো তোমায়
গর্ব করে বলবে তবে
দেবে? মহীয়সী নামটা আমায়
ফিরে এসো মৃণাল তুমি
নিয়ে তোমার পুরোনো স্মৃতি।
অবাস্তবে ফোনটা রাখতে হবে
বাস্তবে চোখের জলে তোমার স্ত্রী ইতি।
©সুতপা
হ্যালো: আজ মনে হয় একটু দেরি হলো
ভাঙ্গা আওয়াজে শুরু হল এবার
পূর্বের কথা আর আওরাই না ভুলেও
যার স্বাদ বড্ড তিক্ত আমার কাছে।
সময়ের রেশে পাড়ি দিলেও জীবন
ঘটে যাওয়া অনেক বলার আছে।
ঘটনা ছিল প্রায় না ঘটার ভানে
তালের সাথে পা মিলিয়ে চলা।
গোপন কথাসব সাজিয়ে মনে মনে
আবদারেতে সবটা তোমায় বলা।
তবে সব আবদার সাত বছর পর আবার
গুছিয়ে রেখে বলি হাহাকারে।
ফিরে এসো মৃণাল একটি বার
আমার দুচোখ থমকে আছে ভাঙা ঘরের দ্বারে।
আমিই কি একাই এক অভাগিনী স্ত্রী
অবহেলা যাকে দিয়েছিলে এক কালে।
অন্যায় সব আমার ভাগীদারি
যাকে রেখে গেছো একা নিজের হালে।
ফিরে এসো মৃণাল
আধ ভাঙা তৃষ্ণা নিয়ে বুকে।
দূরে গিয়ে ভালো আছো বুঝি?
ভেবেছো আমি আছি বড়ো সুখে।
রেডিও তখন প্রেমের গানে সুর বহরে ছটে
শূন্য ঘরও নিজের মতোন গুনগুনিয়ে উঠে।
সকাল এবার পা বাড়িয়ে বেলার দিকে যখন
কালোয় সাজা সন্ধ্যা একা নেমে গেছে কখন।
তুলসীমঞ্চে প্রদীপ দিয়ে যখন তোমায় ডাকি
নিজেই পরে তোমার স্বরে উওর দিয়ে থাকি।
অগোছালো তোমার ড্রয়িংরুমে ছড়িয়ে রাখা পেপার
গুছিয়ে রাখতাম আমিই তাই তোমায় বলা বেকার।
এখন রাতে আবার ছড়িয়ে ঘুমতে চলে যাই
ভোরের আগে উঠে সব আদরে গোছাই।
সাতটা বছর বড়ো তো নয় নাকি তা মিছে সান্ত্বনায়
পিঠ ঠেকেছে ঘরের কোণে কাতর ভরা যন্ত্রণায়।
চায়ের সাথে খবরকাগজ নিয়মিত রাখি ভরে
আওয়াজ করা সিলিংফ্যান চালিয়ে দিই হালকা করে।
স্নানের জল সরিয়ে রেখে মিছিমিছি বলি হেঁকে
'কোন সার্ট টা পরবে তুমি?'
'পানটা দেব সেজে তবে'
'যাচ্ছ বুঝি এই বেলা? আসবে আবার কখন কবে?'
সামলেছিলাম একাই সব
কষ্ট হলেও বলবো তোমায়
গর্ব করে বলবে তবে
দেবে? মহীয়সী নামটা আমায়
ফিরে এসো মৃণাল তুমি
নিয়ে তোমার পুরোনো স্মৃতি।
অবাস্তবে ফোনটা রাখতে হবে
বাস্তবে চোখের জলে তোমার স্ত্রী ইতি।
©সুতপা
No comments:
Post a Comment