Sunday, 26 March 2017

চেষ্টা

কিছু নতুন করার প্রচেষ্টায় করেছিস কী ভুল??
তা ভালো, তা ভালো
না হয় একটু  ভুল ই হলো
যুক্তি যদি ভালো হয়, ভুলের কাম্য অধিক নয়
ভালো মন্দে কোমর বেঁধে,ভেঙে নাটক অভিনয়
না হয় একটু ভুল ই হলো।।
             ©সুতপা

বিরক্তি

সময় ফাঁকে অনুবাদের ফাঁকা কৌটো যত্ন করে রাখি তা
মগজ তগজে আর ভাষা নেই তব লিখবো পরে বাকিটা
প্রথম ছন্দ শেষে মিলায়ে গোলমেলে আজি ছন্দ টা
বোধের উপায় হারিয়ে গেলে শব্দ করবে দ্বন্দ্ব টা
থাক তবে আজ শব্দের খেলা মন নিয়েছে ফাঁকিটা
মগজ তগজে আর ভাষা নেই তব লিখবো পরে বাকিটা
                  ©সুতপা

Friday, 17 March 2017

বিলুপ্ত

হারিয়ে গেছে আলু পোস্ত, chinese এর ভিড়ে।
বাঙালির জলখাবার এখন samba, উপমা ঘিরে।।
নেহাত তোমার বিরিয়ানি বিয়েবাড়ির চল।
ভুলেছো কী গরম ভাতে,বেগুন ভাজা সাথে ঘী এর ঢল।।
Cafe এ গুলো ভর্তি দেখো আড্ডা সাজের ফাঁকে।
Koffee house টা থমকে গেছে কলেজ স্ট্রিটের বাকেঁ।।
Cold, hot এর বাহার করে cappuccino গোলে।
মাটির ভাড়েঁর আভিজাত্য কাজে লাগেনা
তাকে ঘিরে এখন শুধু কভার ফোটো তোলে।।
Fascination কেটে দিলো ডাল আলুভাতে।
বাঙালি এখন idly, dhosay জীবন টাকে মাপে।।
                         ©সুতপা

অহংকার পতনের কারণ

মানুষের কিসের এতো অহংকার।
যেথায় এসব মানুষ দ্বারা উৎপন্ন সময় মতো
রেখে যাবে শেষের দিনে ঠান্ডা দেহ ক্ষত বিক্ষত
তাও মানুষের কিসের এতো অহংকার।।
জন্মে বুঝি বিরাট কিছু পেয়ে গেছো মূলে।
বুদ্ধি টুকু শেষের নেশায় খেয়ে নিয়েছো গুলে।।
যে শরীর তোমার ছিল থাকবে নাকো আর।
সময় বুঝে সবটি ভুলে ভালো হওয়ার তরে
ছেড়ে দাও মনের সব টুকরো অহংকার।।
থাকলে ভালো সবার সাথে চলবে মিলে মিশে।
অহেতুক ঝগড়াঝাঁটি, মন্দ কথা রাখবে বলো কিসে।।
অহংবোধে মানবতার খুন টি করে তুমি।
যতই বলো ভাল কথা তোমায় মনে রাখবে নাকো ভূমি।।
সৃষ্টি যেথায় এতো বড়ো সবার যেথায় স্থান।
বলি কি শোনো অহং ছেড়ে রাখো নিজের মান।।
                              ©সুতপা

ভাবা কী যায়না

আমরা মানুষেরা কতই না ছোটো ঘটনায় তিক্ত হয়ে উঠি। এটা না পেলে ওই  টা না পেলে কেঁদে কেটে গঙ্গা বানানোর প্রচেষ্টা টুকুও বাদ দি না। আজ পার্টি, কাল সিনেমা ওই দিন বড়ো প্ল্যান এই দিন ছোটো প্ল্যান। জীবনটা সত্যিই হারিয়ে গেছে এত ফ্যাসিনেশন এর মধ্যে। কিন্তু কখনও কি ভেবে দেখি আমাদের কিছু ঠাট্টার মধ্যে লুকিয়ে থাকতে পারে বহু প্রানের আর্তনাদ।
ভাবি কী?????
কেনই বা ভাবতে যাব মশাই।
ভাবার সময় কই আমাদের।
আমার  বাবা উকিল, মাস গেলে খানিক গোছের মোটা টাকা দিয়ে দিচ্ছে। বিগ বাজারের জন্য, তারপর তো হেন রেস্তোরাঁ আছে, নাম করা ক্যাফে আছে।।
আমার বাবাও ডাক্তার বা ইন্জিনিয়ার
আমারও ওই একই লাইফস্টাইল।
কিন্তু যার বাবা পথে বসে ভিক্ষা করেন??
যে বাচ্চা মিড ডে মিল খাবারেও নিজের স্বপ্নে দেখা মহাভোগ খোঁজে।।
ভাবতে পারি না কী তাদের কথা????
ভিক্টোরিয়ার রাজপথে যখন বড়ো গাড়ির মধ্যে বন্ধুর সাথে চুলাচুলির শব্দ, তখন কাচের বাইরে জীর্ণ শরীরে বেকেঁ যাওয়া কন্ঠে বাচ্ছাটির ফুল কেনার অনুরোধ কেন ভাবায় না আমাদের।
কী করে ভাবাবে আমাদের কানে তখন বড়ো ডায়াল ওয়ালা হেড ফোন, বেচারার ক্ষুধার্ত আর্তনাদ আমরা কেমন করেই বা শুনব।।
নিজেদের রেষারেষিতে প্রায় সব কিছুই তো শেষ।।
আবার মানবিকতা।।।। ।।।।।
                  ©সুতপা


বাস্তববাদী

বাস্তব তুমি কঠিন বড়ো।
একা থেকে গুচ্ছ খানিক অনুভূতির দ্বারা
শুকিয়ে গেছি কোন গঠিকায় মানব স্বজন হারা
বাস্তব তুমি কঠিন বড়ো।
এই যে বলো একা থেকে অন্তরের সত্ত্বা চেনা যায়
কিন্তু একাকীত্বের সহিত থেকে মানুষ বড়ই কষ্ট পায়
রূপক কথা শোনাই ভালো বাস্তবতা সঙ্গে থাক
প্রয়াস করা কর্ম গুলো চেতনা যুক্ত করা যাক
তাও বাস্তব তুমি বড়োই কঠিন।
                  - - - - - - - ©সুতপা

Thursday, 9 March 2017

লুকানো আর্তনাদ

জান কি ! মনের যত রোগ গুলো নেমে আসে রাতে চোখের ব্যথায়।
ভাঙ্গা টুকরো স্মৃতির ছাপ দিয়ে যায় ভেজা বালিশের আত্মকথায়।।
      ©সুতপা

Wednesday, 8 March 2017

বৃষ্টি আমার বন্ধু

আজ অনেকদিন পর আবার নিজের সাথে সময় কাটালাম।।
জানেন তা কেমন করে??
বৃষ্টি সংযোগে । ছোট্ট থেকেই বড্ড বেশি ভাব আমার এই বৃষ্টির সাথে।। যখন উঁচু জানালার উপর উঠে বসতাম, একা, আনমনা একটা শূন্য মনকে নিয়ে ঠিক তখনই ঝমঝম করে বন্ধুত্ব পাতাতে আসত আমার প্রিয় বৃষ্টি।
তখন আমার উষ্ণ ব্যাকুল মনকে চট করে শীতল করে তুলতে থাকত। আমি বৃষ্টি সহিত খেলব বলে ছোটো হাত দুটো জানালার বাইরে বের করলেই বৃষ্টি তার বাড়ির পথে রওনা দিত।
আমার পুরানো কল্পনা গুলো ভিজিয়ে চলে যেত যাতে আমি নতুন করে ভাবতে পারি আবার
আবার।।।।

Tuesday, 7 March 2017

আছি তো আমি

অকালে হারিয়ে যাওয়া শ্রদ্ধেয় প্রিয় শিল্পী অক্ষয়লোকে আপনি ভালো থাকিবেন।।
  **আছি তো আমি **
জন্ম তুমি দিলে মাগো খানিক মাসের পরে।
খুশির ছটায় প্রভাত হল তোমার গড়া ঘরে।।
তখন সবে দু’মাস আমি কোলের ভিতর তোমার।
পুরোহিত সাধিত হয়ে নামকরণ হল আমার।।
ধীরে ধীরে বড়ো হয়ে উঠতে চলেছি যখন।
জীবন ধারার মধ্যে নতুন বাক্য শেখা তখন।।
একদা আমি স্কুল গন্ডি পেরিয়ে তোমার ঘরে।
উচ্চশিক্ষার এবার পালা বিয়ে হবে পরে।।
এখন আমি চাকরি করি, শিল্প আমার কাজ।
এইটুকু ছেলের মাথায় রূপক কথার রাজ।।
ধীরে ধীরে সবার সাথে আমি মিলে মিশে।
'সাবাস' বলে চাবরে পিঠে বড়রা কয় হেসে।।
দুয়ার আগায় তুমি তখন গর্ভের পরে 'তাজ'।
জন্ম আমার সার্থক মাগো বুঝে উঠলাম আজ।।
তোমার ছায়ার মতো করে সংসার ভার নিলাম।
চিত্রকরের মতোন আমি সুখ একে দিলাম।।
ভালোবাসায়, গুণের মানে ছড়িয়ে গেল আমার কাজ।
খ্যাতনামা, ভালোবাসায় বড়ো শিল্পী আমি আজ।।
ছেলের কাজে মুগ্ধ তুমি মুগ্ধ বন্ধু প্রমুখ।
খুশি আমি কাজের দ্বারা দিতে পেরে সুখ।।
আসতে আসতে সময় মাপে সৃষ্টিকর্তা তুমি।
কেড়ে নেবে সাধনার জীবন ভাবতে পারিনি আমি।।
ফিরবে বলে ফেরা হলনা সময় কালে তাঁর।
মৃত্যু তাঁকে বরন করিয়ে মানিয়ে নিল হার।।
অসহায় বন্ধু মন জানি আবার উঠবে স্মৃতির বলে।
চিন্তা কেন?রহিব আমি আগের মতো বাংলা মায়ের কোলে।।
শেষ হয়েও আমি শেষ হব না শিল্পের শিল্পী থাকবো।
পরজন্মে তোমার কোলে মাগো আবার আমি আসবো।।
                         - - - - - - - ©সুতপা ত্রয়ী সেন

Saturday, 4 March 2017

নারী দিবস

স্নেহের আদলে যাকে আমরা দেখি সেই তো নারী।
তাকে আমরা দশভুজাও বলতে পারি।।
বাড়ির তুমি অন্নপূর্ণা মহীয়সী ইতিহাসে।
চিত্রকরের হাতের আকায় নারীর গঠন ভাসে।।
জগৎ সৃষ্টির আধার তুমি শক্তিমত্তা নারী।
মায়ের রূপে দশভুজা তোমাকে বলতে পারি।।

আন্তর্জাতিক নারী দিবসের শুভেচ্ছা

নারী

যামিনী রয়েস এর নারী কে অনেক দিন পর তুলে ধরলাম নিজের কাপাকাপা হাতে।।

মান_হুষ

( মান_হুষ )
চেতনা তুমি উধাও কেন মৃত্যুর ডাকে ভয় পেয়ে |
দাও সারা যদি মানব ধর্ম বড় হয় বাকিসব চেয়ে ||
অন্যত্র সাহস তুমি নিন্দাবাজে শ্রেয় হও |
আসল কথা অন্যত্র না নিজেরে নিজেই ভয় পাও ||
নিজের টুকু বুঝে নিয়ে পিছন পথে সরে যাও |
বাকি সবার বাইরে থেকে সার্থ নিয়ে হিসাব চাও ||
মানুষ তুমি বড়ই জটিল তোমায় বোঝার দায় কার |
ধিক্কার তোমায় আমিও মানুষ, বিবেক মারা গেছে যার ||
                            --------------------(সুতপা)

মান_হুশ

( মান_হুষ )
চেতনা তুমি উধাও কেন মৃত্যুর ডাকে ভয় পেয়ে |
দাও সারা যদি মানব ধর্ম বড় হয় বাকিসব চেয়ে ||
অন্যত্র সাহস তুমি নিন্দাবাজে শ্রেয় হও |
আসল কথা অন্যত্র না নিজেরে নিজেই ভয় পাও ||
নিজের টুকু বুঝে নিয়ে পিছন পথে সরে যাও |
বাকি সবার বাইরে থেকে সার্থ নিয়ে হিসাব চাও ||
মানুষ তুমি বড়ই জটিল তোমায় বোঝার দায় কার |
ধিক্কার তোমায় আমিও মানুষ, বিবেক মারা গেছে যার ||
                            --------------------(সুতপা)

বাবা তোমার মতো

যে কোনো পুরুষ যতই বলুক কিন্তু বাবার মতো ভালো কেউ ই ভালো বাসতে পারবে না

নিজস্ব

সম্পূর্ণ নিজের প্রাপ্ত গুন চর্চার পরিধি অনেক ছোট হলেও সেটা একান্তই নিজের এবং অনেক মূল্যবান হয়, কিন্তু ওপরের সহিত পাওয়া বিশেষ চর্চার পরিধি অধিক বড়ো হলেও সেটা অনেক টাই মূল্যহীন।।।।

বিমূর্ত

যদি মন মাটির প্রদীপ হয় তবে অনুভুতি তাতে আগুন দেওয়ার কাজ করে

পুরুষ

কজন সত্যিকারের পুরুষের জীবনে হাজারটা নারীর প্রয়োজন হয় না।
একজন নারীকেই সে হাজার ভাবে ভালোবাসতে পারে

Friday, 3 March 2017

পৌষ কল্পনায়

*** (পৌষ কল্পনা)***
ঠান্ডা কুয়াশার চাদর ভেঙে হাতছানি দিচ্ছে শীতের বেলা,
মনোরম আমেজে ব্যঘাত এনে কেটেই যাবে সে পৌষ মেলা |
পিঠের বাহার, মিষ্টির ভাঁড় সব ছেড়ে চলে যাবে আজ দিনের সাথে,
নাগাল ফুরিয়ে সব পেটের ভিতরে শেষ হবে আজ হাতে হাতে|
অনুমান করি বেলা সেরে উঠে আবার পৌষ বুঝি আসবে ফাঁকে,
মিষ্টান্ন আর নবান্ন মিলে মিশে হয়েছে সব এক ঝাঁকে |
বাঙালিয়ানায় সব এক সেরা মেতেছে মন যেন এক উদ্দেশ্যে,
কল্পনা ছেড়ে যদি তাকাই পানে একই পথ চলেছে আজ নিরুদ্দেশে |
--------------------- সুপ্রভাত ''''''''''''
গল্প হলেও নিছক সত্যি সে সব দিক, যার চর্চা পৃথিবীর ধরা তোলে
বলবো আজ সেই গল্প যারা দোষ চক্রে না খেতে পেয়ে মরে.
দেশ ভাগের সূচনায় যা শুরু, মানুষ ভাগের কর্মে যা শেষ
এই নিয়ে ওঠে লড়াই, এই নিয়ে গড়েছে আমাদের দেশ.
মানবতার আরশী নগর, ঝোপে ঝাড়ে যায় লুকিয়ে
মানব বীজের স্বাধীন গাছ অনাহারে যায় শুকিয়ে.
আমরা ভারি অদ্ভুত জীব, রক্ত মাংস বিচরণ
সত্য কথা লুকিয়ে রেখে অন্যায় কে করি বরন.
দেশের মাটি, দশ এর মাঠি সকল মিলে বাঁচবে কি ভাই
ধনী,গরীব ভাগাভাগি, জাত পাতের ওঃ ভাগাভাগি চাই.
সমাজের যে কি মানুষ যা দুই ভাগে ভাগ হয়ে যায়
কর্মের ভাগে জীবন বাধা কেউ সুখ মজায় আর কেউ দুঃখ পায়.
ভিত্তি করে দাস প্রথাকে গরীব গেলো বিকিয়ে
কায়দা করে দুঃখের বোঝা তাদের ঘরে মালিক দিলো চাপিয়ে.
কষ্টের ঘায়ে, জীবন পর্যায়ে , গরীব হরির এ নাম দিন কাটায়
বড়ো বাবার ধনী ছেলে ভারী পকেট এ মজা ওড়ায় .
মাথার ঘাম পায়ে ফেলে কর্মজীবি কর্ম পথে
ধনী লোকের মেজাজ দেখো কালো টাকায় বদ্ধ বটে.
গরীব মায়ের শিশুর পেট খিদায় দেখো জ্বলে যায়
অনাহারে মরে তারা মানবতা কোথায় হায়.
বড়ো লোকের ছেলের দেখো বড়ো গাড়ির অভাব নেই
মানুষ মারার তালে দেখো মানুষ চাপা দিয়ে যায়.
হরেক রকম কান্ড সেসব মানবতার দংশনে
অভিজ্ঞতার স্মৃতিএকা মৃত দেহের সেই মনে.
           - @সুতপা ত্রয়ী সেন

গরীব তুমি

গল্প হলেও নিছক সত্যি সে সব দিক, যার চর্চা পৃথিবীর ধরা তোলে
বলবো আজ সেই গল্প যারা দোষ চক্রে
না খেতে পেয়ে মরে.
দেশ ভাগের সূচনায় যা শুরু, মানুষ ভাগের কর্মে যা শেষ
এই নিয়ে ওঠে লড়াই, এই নিয়ে গড়েছে আমাদের দেশ.
মানবতার আরশী নগর, ঝোপে ঝাড়ে যায় লুকিয়ে
মানব বীজের স্বাধীন গাছ অনাহারে যায় শুকিয়ে.
আমরা ভারি অদ্ভুত জীব, রক্ত মাংস বিচরণ
সত্য কথা লুকিয়ে রেখে অন্যায় কে করি বরন.
দেশের মাটি, দশ এর মাঠি সকল মিলে বাঁচবে কি ভাই
ধনী,গরীব ভাগাভাগি, জাত পাতের ওঃ ভাগাভাগি চাই.
সমাজের যে কি মানুষ যা দুই ভাগে ভাগ হয়ে যায়
কর্মের ভাগে জীবন বাধা কেউ সুখ মজায় আর কেউ দুঃখ পায়.
ভিত্তি করে দাস প্রথাকে গরীব গেলো বিকিয়ে
কায়দা করে দুঃখের বোঝা তাদের ঘরে মালিক দিলো চাপিয়ে.
কষ্টের ঘায়ে, জীবন পর্যায়ে , গরীব হরির এ নাম দিন কাটায়
বড়ো বাবার ধনী ছেলে ভারী পকেট এ মজা ওড়ায় .
মাথার ঘাম পায়ে ফেলে কর্মজীবি কর্ম পথে
ধনী লোকের মেজাজ দেখো কালো টাকায় বদ্ধ বটে.
গরীব মায়ের শিশুর পেট খিদায় দেখো জ্বলে যায়
অনাহারে মরে তারা মানবতা কোথায় হায়.
বড়ো লোকের ছেলের দেখো বড়ো গাড়ির অভাব নেই
মানুষ মারার তালে দেখো মানুষ চাপা দিয়ে যায়.
হরেক রকম কান্ড সেসব মানবতার দংশনে
অভিজ্ঞতার স্মৃতিএকা মৃত দেহের সেই মনে.
             ------ @সুতপা ত্রয়ী সেন

আমি নারী


আমি কোনো বহুমুখী প্রতিভা সম্পন্ন ব্যক্তি নই ,
না কোনো আলাদিনের আশ্চর্য প্রদীপ থেকে বেরিয়ে আসা অবতার
আমি এক নারী যাকে ঈস্বর কর্তা সৃষ্টি করেছেন, যাকে তোমরা দেবী বলেছ
কোমল হৃদয়ে ধারণ কারি আমি সেই নারী
নিজের হাতে বিশ্ব কে আমি নিজেই সৃষ্টি করতে পারি I
কিন্তু একি অবহেলা , নারী নিয়ে নতুন খেলা
যাকে আমার অংশ দিয়ে নিজের মধ্যে করি ধারণ
আমার গঠনে দাগ লাগিয়ে তারাই হয় মুখ্য কারণ I
দূর্গা বলে পুজাও যারে রাতে তারা হয় তোমার বাসনা
নারী আমি আঘাত পেয়ে থাকি এক কোনে আনমনা I
একদা তোমার পুরুষ সমাজ দুর্ভাগা তার লজ্জা নাম
নারী তোমার ধারিণীও বটে ভুলেছো কি তার দুধের দাম I
নারী নিয়ে ছেলেখেলা নারীর হাস্য করিস বটে
নারী তোকে ধারণ করে ভুলেছিস কি অকপটে I
আপন ধরে কষ্ট ভিড়ে কেমন করে বাচঁবে নারী
আঘাত আর যন্ত্রনাটা কষ্টদায়ক ভীষণ ভারী I
লুকিয়ে পড়া গুল্ম ঝোপে পরে থাকা এবার নারী
সময় বুঝে উঠবে ফুটে শক্তি দায়ক আবার নারী I
মাখবে গায়ে রেনুর পরশ আলোয় ভরা জগৎ সারি
আসবো আমি এলোকেশী শক্তি ধারণ একাই নারী I

গভীর

বাস্তব পৃথিবী, অবৈধ সম্পর্ক, সব কিছু মেপে নেওয়ার সময় এক মন নিরুপায় আর এক মন চরিএহীন.....

চেতনা

শরীরের প্রতিটি অঙ্গের সাথে সর্বদাই চোখের এতো মিল যে, ক্ষতস্থান যে কোনোই অঙ্গই হোক না কেন ক্ষতিপূরণ সবসময় চোখ কেই দিতে হয় জল দিয়ে কেঁদে।।।। ।।।।

Sutapa trayi sen

কবিতার সাথে

ঘুম

স্বপ্ন,জানি তুমি নামতে চলেছ ধীরে ধীরে। আসতে চলেছে আবার সেই নিরব রাত যার দৈর্ঘ্য, পরিধি সব মিলিয়ে নিলেও ভুল হয়েছে সঠিকভাবে মাপতে ঠিক জীবনের রচিত রঙিন ভুল গুলির মত।। এবার ঘুম নামবে সব বাস্তব অবাস্তব জীর্ণ পপপ্রভাবনা গুলো কে ভুলিয়ে।                                                                     এবার ঘুম নামবে 

গ্রীষ্ম

ভেজা সবুজ ঘাসের গন্ধ
মেঠো হাওয়ার আলিঙ্গন
কালবৈশাখীর নিম্ন দেশ
উৎকণ্ঠিত মনের রেশ
শুধু একটাই চিন্তায়, কবে তুমি আসবে '' গ্রীষ্ম ''

ভাবনা

বিদ্রোহ তুমি করছ মন online থাকার বায়না ধরে।
যে ঘুমানোর সে ঘুমিয়ে গেছে বহুকাল আগের যাত্রা করে।।

মাটির মা'র কথা

    মাটির মা সশব্দে তৈরি হতে চলেছি ভালো আছিস তোরা? কতটা মাটি দিলে আরও সুন্দর হবো? নাকের কাছ টা বেঁকে গেছে ঠিক করে দে ওটা আমার চোখ গু...