Saturday, 30 September 2017

পাষাণ নয় যদিও

অলীক কল্পনা
এতো বড়ো স্তম্ভ যুক্ত পাষাণ চেতনাবিহীন চেহারাটা নিয়ে উন্মুক্তের মতো দাড়িয়ে আছো, হে আকাশ তোমার ঠিক দাবি টা কী?
তাকালেই তো ছড়ানো কাপড়ের মতো মলিনতা ছড়িয়ে উদারতার দেখাও।
তা কি তবে অহংকার নাকি মায়াতে বেঁধেছে বলে এমন রূপ।
পুরান কথার মতো যাদের স্থান অক্ষয়লোকে হয় তাদের নাকি আপনার কাছে জমা রাখা হয় অগুনতি তারা রূপে। তবে পাওনাদাররা চাইছেল তুমি তোমার সঞ্চয় ফিরিয়ে দাও? নাকি মুখ ঘুরিয়ে অভিমানী স্বরে বলো 'এ আমার প্রাপ্য ছিল আমার কাছেই থাক'।
বুঝি না তোমার এতো বড়ো গঠন কি সত্যিই বর্তমান নাকি মিছা নাকি আমার ছোটো দুটি চোখে সম্পূর্ণ টা আসে না।।।।
                      ©সুতপা

দূর্গা ভাগে

ভোরের আকাশ এলোমেলো, শহর ফুরফুরে
চতুর্থীর ভরা গন্ধ, পুজোর এই মরসুমে।
মনের দূর্গা এলোমেলো, এলোকেশী চুলে
ঠাঁই হয়েছে মাটির মূর্তি, কাঠামোর মশগুলে।
আমি না হয় নেহাত বোকা পুজি তারে রোজ
নিজের দূর্গা কেমন আছে? নিলে নাকি খোঁজ।
এই দেশেতে হরেক রকম দূর্গা পাওয়া যায়
মেক আপ দিয়ে , ফটোর দেশে অনেক দেখা যায়।
তা না হলেও দেখতে পাবে ছয় কোটির তরে
দূর্গা, সাজিয়ে এনেছে কেমন বিশাল টাকার ঘরে।
দূর্গা তখন বিরাজমান দামী প্যান্ডেল সাজে
দর তুলেছে পরিক্রমা হাজার ভিড়ের মাঝে।
দেখছো কি আর এক দূর্গা রাস্তায় যার বাড়ি
অনাহার তার চির বন্ধু, তাই নিয়তির সাথে আড়ি ।
ছয় কোটি তে নয় সে দশ টাকাতেই খুশি
এবার দূর্গা পরিক্রমায় ভুল হয়েছে, তাই তুমিও তবে দোষী।
                                    ©সুতপা

দূর্গারূপে

(খুচরো কিছু লাইন)
তোমার দূর্গা আর্সেলানের সিটে, টিপ দিচ্ছে খুচরো অংক কষে।
আমার দূর্গা তখনও রাস্তার ধারে, থালা নিয়ে ভিক্ষে করছে বসে।
তোমার দূর্গার সপ্তমী প্ল্যান শেষ, বাকি দিনের মেয়াদ নিচ্ছে বুঝে।
আমার দূর্গা তখনও ফাঁকা পেটে, খিদে চেপে ভালোবাসা নিচ্ছে খুঁজে।
তোমার দূর্গার রাত হয়েছে সবে, শুতে হবে পশম কাঠের মাঝে।
আমার দূর্গার ফাঁকা বাস স্ট্যান্ড, হাহাকারে পাঁজর জোড়া বাজে।
               ©trayee sen(সুতপা)

মাটির মা'র কথা

    মাটির মা সশব্দে তৈরি হতে চলেছি ভালো আছিস তোরা? কতটা মাটি দিলে আরও সুন্দর হবো? নাকের কাছ টা বেঁকে গেছে ঠিক করে দে ওটা আমার চোখ গু...